১০ গোলে তার অবদান, যার মধ্যে ২টি হ্যাটট্রিকসহ ৮টি গোল নিজে করেছেন, ২টি গোল করিয়েছেন। তবুও নিজের খেলার প্রতি সন্তুষ্ট নন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শেষ তিন ম্যাচে যে কোনো গোলই পাচ্ছেন না সিআর সেভেন।
বুধবার রাতে সৌদি কিং কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তো রীতিমত মেজাজ হারিয়ে ফেললেন। যার ফলে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে পর্তুগিজ সুপার স্টারকে। আবার এই প্রথম সৌদি আরবে পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেননি তিনি। পরিবর্তন করা হয়েছে রোনালদোকে।
গোল করতে পারেননি, তার ওপর মেজাজ হারিয়ে রোনালদো হলুদ কার্ড দেখলেও বড় জয় পেয়েছে তার ক্লাব আল নাসর। সৌদি কিং কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে আবহার বিপক্ষে। উঠে গেছে সেমিফাইনালে।
রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর থেকেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না রোনালদোর। ম্যানইউতে প্রত্যাবর্তনের পরও যে তিনি মধুর সময় কাটিয়েছেন, তেমনটা নয়। এরপর গত বিশ্বকাপে পর্তুগিজ কোচের সঙ্গে ঝামেলা। এবার সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে যোগ দিয়েও ভালো সময় ফিরছে না তার। উত্থান-পতনের মধ্যেই রয়েছেন। বারবার ম্যাচে মেজাজ হারাচ্ছেন তিনি। নিজের চেনা ছন্দে না থাকাটাই এর মূল কারণ।
আগের ম্যাচে আল ইত্তিহাদের কাছে হারের পর ‘মেসি মেসি’ নামে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকেরা চিৎকার করায় রেগে গিয়েছিলেন রোনালদো। টানেলে প্রবেশের আগ মুহূর্তে বোতলে লাথি মেরে সে রাগ প্রকাশ করেন সিআর সেভেন। এবার অবশ্য তার দল জিতলেও, তিনি ক্ষিপ্ত হন রেফারির ওপর। পাশাপাশি ম্যাচের মাঝপথে তাকে তুলে নেওয়াতেও রেগে যান সিআর সেভেন।
মঙ্গলবার রাতে কিংস কাপে আবহার মুখোমুখি হয় আল নাসের। পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে আল নাসের। ১০ সেকেন্ড যেতে না যেতেই গোল করে এগিয়ে যায় রোনালদোর দল। ২০ এবং ৪৯ মিনিটে আরও দু’টি গোল করে তারা।
তবে অধিনায়ক রোনালদো নিজে মোটেও চেনা ছন্দে ছিলেন না। তিনি খুব একটা ভালো খেলতে পারেননি। এর মধ্যে হঠাৎ করেই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে আক্রমণে যান রোনালদো। মিডফিল্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময়ই রেফারি হঠাৎ বিরতির বাঁশি বাজিয়ে বসেন। এতেই মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায় রোনালদোর। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বল ধরে সেটাতে সজোরে লাথি মারেন। রেফারিও এই অপরাধে হলুদ কার্ড দেখিয়ে বসেন রোনালদোকে।
এরপর আবার ম্যাচের তিন মিনিট আগে তাকে তুলে নেন কোচ রুডি গার্সিয়া। তার পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় অ্যান্ডারসন তালিসকাকে। যিনি ইনজুরি আক্রান্ত ছিলেন। পরিবর্তনটাও মেনে নিতে পারেননি রোনালদো। হতাশায় মাথা নাড়তে নাড়তে তিনি ডাগআউটে বসে পড়েন। রোনালদোর এমন আচরণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে।