কাতার বিশ্বকাপে সেমিতে ওঠার ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে শেষ আট থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। দারুণ ফুটবল খেলেও এভাবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়াটা সহজভাবে নিতে পারেননি রিচার্লিসন।
বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর মানসিক অবস্থা কেমন হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করে রিচার্লিসন বলেছেন, ‘আমি তখন কেবলই নিজের সেরা অবস্থায় বিশ্বকাপ শেষ করেছি। আমার মনে হচ্ছিল, আমি নিজের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। আমি জানি না কেন, আমি নিজেকে মেরে ফেলতে চেয়েছি বলছি না, কিন্তু হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম এবং আমি হাল ছেড়ে দিতে চাচ্ছিলাম। এমনকি আমাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী ভাবা হলেও বিশ্বকাপের পর মনে হচ্ছিল, সব ভেঙে পড়েছে।’
তখন মনোবিদের সাহায্য নিয়েছিলেন রিচার্লিসন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, থেরাপিস্টই আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। আমি তখন শুধুই বাজে ব্যাপারগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম। এমনকি গুগলেও আমি সেই আজেবাজে বিষয়গুলো খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। আমি শুধু মৃত্যু নিয়ে আজেবাজে বিষয়গুলো খুঁজতাম।’
‘আজ আমি বলতে চাই, আপনার যদি মনোবিদের প্রয়োজন হয়, তবে তার কাছে যান। কারণ, এভাবে নিজেকে মেলে ধরাটা ভালো। ফুটবল ও ফুটবলের বাইরের দুনিয়ার সামনে বিষয়টি নিয়ে আসায় আজ একজন থেরাপিস্ট আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কারণ, আমরা পছন্দ করি বা না করি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা জীবন বাঁচিয়ে দেয়।’-আরও যোগ করেন তিনি।