ইংল্যান্ডের খাবার এবং পরিবেশকে খুবই বাজে বলে মন্তব্য করলেন আর্জেন্টাইন ফুটবরার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার স্ত্রী জর্জেলিনা কার্দোসো। শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের নারীদে চিনামাটির তৈরি বলেও মন্তব্য করলেন তিনি।
দুই বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে এ ধরনের মন্তব্য করেন জর্জেলিনা। তবে সেই ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে গেছে। যে কারণে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন ডি মারিয়ার স্ত্রী।
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ২০১৪ সালে মাত্র এক বছরের জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন ডি মারিয়া। এরপর তিনি চলে যান পিএসজিতে। প্যারিসে প্রায় সাত বছর কাটানোর পর এখন নতুন করে যোগ দিয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে।
দুই বছর আগে আর্জেন্টাইন চ্যানেল এল ট্রেসের ‘এলএএম’ নামে একটি অনুষ্ঠানে কথা বলেন ডি মারিয়ার স্ত্রী কার্ডোসো। সেখানে তিনি বর্ণনা করেন, ইংল্যান্ডে তার একটি বছর ছিল যেন দুঃসপ্নের মতো, বিশেষ করে ম্যানচেস্টার। তিনি বলেন, ‘খুবই ভয়ানক…, ম্যানচেস্টার হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ। এখানকার সবকিছুই ভয়ঙ্কর।’
একই সঙ্গে কার্ডোসো জানিয়ে দেন, রিয়াল মাদ্রিদই বিশ্বের সেরা ক্লাব এবং মাদ্রিদ হচ্ছে বসবাসের জন্যও সেরা। মাদ্রিদ ছেড়ে আসার আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাও জিতেছিলেন ডি মারিয়া। কার্ডোসো বলেন, ‘আমরা মাদ্রিদে বসবাস করতাম এবং অ্যাঞ্জেল খেলতো বিশ্বের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে।’
‘আমরা সেখানে খুব ভালো ছিলাম। আবহাওয়া ছিল ভালো। সেখানকার খাবারও ছিল দুর্দান্ত। এবং এই মুহূর্তেই হঠাৎ করে ম্যানচেস্টার থেকে প্রস্তাবটা এলো। আমি তাকে (ডি মারিয়া) বলেছিলাম, অবশ্যই তুমি তোমার মত করে চিন্তা করবে, চলবে।’
ডি মারিয়া তাকে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই, আমরা যাচ্ছি। এখানে অনেক টাকা পাবো। এরপরই স্পেনে আমাদেরকে ভাড়াটে বলা শুরু করলো। আপনি যদি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এবং আপনার সেই কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বী দু’বারের বেশি প্রস্তাব দেয়, তখন আপনি কী করবেন? না যেয়ে পারবেন?’
কার্ডোসো স্বীকার করেন, ম্যানচেস্টারে আসার আগেই তিনি যখন তার বান্ধবী জিয়ান্নিনা ম্যারাডোনার (ম্যারাডোনার মেয়ে) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তখন তিনি ডি মারিয়াকে বলেছিলেন, ইংল্যান্ড ছেড়ে তিনি অন্য কোথাও চলে যেতে চান।
কার্ডোসো জানান, এক বছর পরই তারা ইংল্যান্ডে চলে আসেন। এসেই পড়লেন মহা গাঁড়াকলে। ইংল্যান্ডের সবকিছু নিয়েই সমালোচনায় মুখর হলেন তিনি। ‘আমি একে কোনোভাবেই পছন্দ করতে পারলাম না। সবগুলো মানুষ সাদা, পরিস্কার এবং খুব অদ্ভূত। তারা আপনার চারপাশে ঘুরবে, কিন্তু আপনি বুঝতেই পারবেন না যে তারা আপনাকে খুন করতে চায়। এখানকার খাবার খুবই বাজে, ডিজগাস্টিং। এখানকার নারীদেরকে যেন তৈরি করা হয়েছে চিনামাটি দিয়ে।’
কার্ডোসো স্বীকার করেন, ইংল্যান্ডে থাকা কঠিন সময়গুলোতে ডি মারিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।