মনের ক্যানভাসে কল্পনার রংতুলিতে কত কী আঁকছে লোকে! কোপা আমেরিকা বলে কথা! বিশ্বকাপের পর যে আসর নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। শত হোক মেসি-নেইমারদের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথ। যুগ যুগ ধরে যে প্রতিযোগিতার আগে ছড়ায় সৌরভ। প্রতি আসরেই থাকে নানা চমক। এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়।
তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই শুরু জল্পনাকল্পনা। যার মধ্যে এবার প্রতিটি দলেই থাকবে একাধিক তরুণ খেলোয়াড়। যাদের ঘিরে আলোচনার শেষ নেই। কেউ এখনও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াননি, কেউ আবার একটি ম্যাচ খেলেছেন। এমন তরুণদের ভিড়ে তিন ফেভারিট ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা আর উরুগুয়ের তিন তরুণকে নিয়ে একটু বেশিই কৌতূহল। তাদের কে কেমন করবেন, কে মূল একাদশে থাকতে পারেন– এমন বিচার-বিশ্লেষণ করছেন ফুটবলবোদ্ধারাও।
যাদের মধ্যে ইভানিলসনকে নিয়ে বেশি হইচই। ব্রাজিলের ঘোষিত কোপা আমেরিকার স্কোয়াডে তাঁর নাম দেখা মাত্রই আলোচনার ঝড় ওঠে। কে এই ইভানিলসন। তবে আলোচনা হওয়াটা স্বাভাবিক। পোর্তোতে খেলা এই সেন্টার ফরোয়ার্ড এরই মধ্যে বল পায়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। চলমান মৌসুমে ২৪ গোলের পাশাপাশি ৬ গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। কোপায় হয়তো শুরুর একাদশে তাঁকে রাখবেন না ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। কারণ, তাঁর পজিশনে এনড্রিকের থাকা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে পুরো সময় যে এনড্রিক খেলবেন কিংবা প্রতি ম্যাচেই যে তিনি ফর্মে থাকবেন তেমনটা নয়।
এদিকে আর্জেন্টিনার তরুণ মিডফিল্ডার ভ্যালেন্টিন কার্বোনিকে নিয়েও কম কানাঘুষা হচ্ছে না। পাওলো দিবালার না থাকা, এর পর দলটির অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে বাড়তি কৌশল হিসেবেই লিওনেল স্কালোনি কার্বোনিকে যুক্ত করেছেন। হয়তো কোপা আমেরিকার দলেও জায়গা হতে পারে তাঁর। আর সেলসোর বদলি হিসেবে কার্বোনিকে ব্যবহার করতে পারেন স্কালোনি।
তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার তুলনায় উরুগুয়েও এবার কোনো অংশে পিছিয়ে থাকার কথা না। দীর্ঘদিন ট্রফি খরায় ভোগা দলটি এবার কোমর বেঁধেই নামতে চায়। সেজন্য প্রাথমিক স্কোয়াডের প্রতিটি বিভাগে রাখা হয়েছে একাধিক অস্ত্র। যার মধ্যে তরুণ ফোন্সেকা হতে পারেন তাদের তুরুপের তাস। মাঝমাঠ সামলে ডিফেন্সে অবদান রাখা ফোন্সেকা এরই মধ্যে রিভার প্লেটে সবার নজর কেড়েছেন।