প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশ কাতারে বসতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপের মতো মেগা আসর। বিশ্বের প্রায় সব প্রান্ত থেকেই ফুটবলপ্রেমীরা ভিড় করবেন এই মহোৎসবে।
শুধু মাঠের ফুটবলই নয়, অনেকে বিশ্বকাপের সময়টায় কাতারে যাবেন আনন্দ-ফুর্তি করতেও। কিন্তু চাইলেই সবধরনের ফুর্তি সেখানে করা যাবে না। বরং মেনে চলতে হবে বেশকিছু নিয়ম। এমনকি নিয়ম না মানলে পড়তে হবে কঠোর শাস্তির মুখেও।
ফুটবল বিশ্বকাপের চেনা কিছু দৃশ্য এবার দেখা যাবে না। যেমন প্রিয় দলের খেলা শেষে রাতভর পার্টি, রাস্তায় হই-হুল্লোড়। কিন্তু রক্ষণশীল মুসলিম-প্রধান দেশ কাতারে এসব নিষিদ্ধ। এমনকি বিশ্বকাপ দেখতে এসে হোটেলে ওঠে স্বামী-স্ত্রী না হলে যৌন মিলনও করা যাবে না। বিশেষ করে ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’ বা এক রাতের যৌনমিলন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিয়মের ব্যতিক্রম হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি স্টার’-এর বরাতে ‘মিরর’ এমনটাই জানিয়েছে।
কাতারে সমকামিতাও নিষিদ্ধ। ২০২২ বিশ্বকাপে তাই সমকামিতার সমর্থনে পোস্টার বা পতাকা ওড়ানো নিষিদ্ধ থাকবে। এমনকি মদ্যপানেও থাকবে নিষেধাজ্ঞা। কাতারের জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুলআজিজ আল আনসারী জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো দেওয়ার কারণ আসলে বিশ্বকাপ দেখতে আসা সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থেই। তার মতে, কাতারের সাধারণ লোকজন হয়তো এসব মেনে নিতে পারবেন না। কেউ কেউ আগ্রাসীও হয়ে উঠতে পারেন।
কাতার বিশ্বকাপে ফিফার প্রধান নির্বাহী নাসের আল খাতের বলেন, ‘সমর্থকদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত ভালোবাসা দেখানো আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। সেটা সকলের জন্যই প্রযোজ্য। ‘