আর্জেন্টিনা নাকি পোল্যান্ড? নকআউটের কঠিন সমীকরণ মাথায় নিয়ে আজ (বুধবার) মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। যে লড়াইটা আবার সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি আর রবার্ট লেওয়ানডস্কিরও।
লেওয়ানডস্কিকে বলা হয় ‘গোলমেশিন’। মনে করা হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। ক্লাব এবং দেশের হয়ে তিনি সিনিয়র ক্যারিয়ারে ৫০০-এর বেশি গোল করেছেন।
জাতীয় দলেরও সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা লেওয়ানডস্কি। ইউরোপে সবমিলিয়ে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে তিনি। লেওয়ানডস্কির চেয়ে বেশি গোল কেবল ফেরেঙ্ক পুসকাস আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।
অন্যদিকে মেসির বিশেষণের অভাব নেই। তর্কসাপেক্ষে সময়ের সেরা ফুটবলার। তাকে ডাকা হয় ফুটবল জাদুকর, আর্জেন্টাইন খুদেরাজসহ নানা নামে।
রেকর্ডের পর রেকর্ড পায়ের কাছে গড়াগড়ি খাচ্ছে মেসির। সাতবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন, ছয়বার জিতেছেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট। ২০২০ সালে ব্যালন ডি’অরের স্বপ্নের দলেও জায়গা করে নেন মেসি।
ক্লাব এবং দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সিনিয়র ক্যারিয়ারে ৭৮৫ গোল করেছেন। একটি ক্লাবের হয়ে (বার্সেলোনা) সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড মেসির (৬৭২)। জাতীয় দলের হয়েও সবচেয়ে বেশি ম্যাচ এবং সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড মেসির দখলে।
আর্জেন্টিনার আশার বাতিঘর মেসি এবার শুরু থেকেই স্বরূপে ছিলেন। প্রথম ম্যাচে সৌদির কাছে দল ২-১ ব্যবধানে হারলেও পেনাল্টি থেকে আলবিসেলেস্তেদের একমাত্র গোলটি করেছিলেন মেসিই।
দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, টিকে থাকার লড়াই। ওই ম্যাচে মেসির নৈপুণ্যেই মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। মেসি করেন একটি গোল, অন্য গোলে রাখেন অবদান।
লেওয়ানডস্কির জন্য অবশ্য এবারের বিশ্বকাপটা এখন পর্যন্ত মিশ্র অভিজ্ঞতার। পোল্যান্ডের প্রথম ম্যাচেই ‘ভিলেন’ হয়ে গিয়েছিলেন। তার পেনাল্টি মিসে মেক্সিকোর সঙ্গে পয়েন্ট হারায় দল, ম্যাচটি হয় গোলশূন্য ড্র।
তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ান লেওয়ানডস্কি। সৌদিকে ২-০ গোলে হারানোর ম্যাচে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলটি করেন বার্সার এই স্ট্রাইকার।
এবার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি বলতে গেলে বাঁচামরার। মেসি নাকি লেওয়ানডস্কি, এই লড়াইয়ে কে হাসবেন শেষ হাসি?