নাসিম রুমি: ফুটবল আকাশের দুই নক্ষত্র, একসঙ্গে জন্মেছিলেন ৫ ফেব্রুয়ারির ভোরে। একজন স্বপ্নকে রূপ দিয়েছেন কিংবদন্তির ছাঁচে, অন্যজন স্বপ্নের মোহে ডুবে হারিয়ে গেছেন পথে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমার— আজ তাদের জন্মদিন। পর্তুগিজ মহাতারকা পা রাখছেন ৪০ বছরে আর ব্রাজিলিয়ানের ৩৩। তবে একই দিনে জন্ম হলেও কত আলাদা দুজনের পথচলা! একে আপরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রোনালদো ও নেইমার—ফুটবলের দুই মহাতারকা। একজন পরিণত হয়েছেন পরিশ্রমের প্রতিমূর্তিতে, অন্যজন প্রতিভার এক স্বতঃস্ফূর্ত ঝলকে। দুজনই এক সময় ইউরোপ শাসন করেছেন, দুজনই পরে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন রেকর্ড বেতনে। তবে জীবন ও ক্যারিয়ারের দৌড়ে দুজনের ভাগ্য ভিন্ন পথে মোড় নিয়েছে। রোনালদো পেয়েছেন প্রায় সবকিছু, কিন্তু তবুও তার চোখে এক অপূর্ণতার খরা। আর নেইমার সেই পূর্ণতার স্বাদ পেতে ফিরে গেছেন শুরুতে—শৈশবের ক্লাব সান্তোসে, বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ক্যারিয়ারের সাফল্যের মুকুট এতটাই সমৃদ্ধ যে, তা ফুটবল ইতিহাসে কালজয়ী হয়ে থাকবে। পাঁচটি ব্যালন ডি’অর, পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরো জয়ের গৌরব, উয়েফা নেশন্স লিগসহ একাধিক ক্লাব ও ব্যক্তিগত শিরোপায় ভরা তার ঝুলি। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস—সবখানেই তিনি সফল। আল নাসরের হয়ে সৌদিতে গেলেও নিজের ফিটনেস ও গোলক্ষুধায় এতটুকু ভাটা পড়েনি। তার লক্ষ্য এখন ক্যারিয়ারে ১০০০ গোল পূর্ণ করা, যা ফুটবলে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হতে পারে।
তবে এত সাফল্যের মাঝেও এক অপূর্ণতা রোনালদোর হৃদয়ে রয়ে গেছে—বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নপূরণ না হওয়া। ইউরো ও নেশন্স লিগ এনে দিলেও দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারেননি তিনি। ২০০৬ থেকে ২০২২—প্রতিটি বিশ্বকাপেই ছিলেন পর্তুগালের তুরুপের তাস, কিন্তু দল নিয়ে যেতে পারেননি শেষ শিখরে। সেই এক অতৃপ্তি নিয়েই হয়তো ফুটবলকে বিদায় বলবেন এই মহাতারকা।