নাসিম রুমি: জিদান ও লিওনেল মেসির একটি সাক্ষাৎকারের আয়োজন করে ‘অ্যাডিডাস’। যেখানে ফ্রান্সের সাবেক ‘১০’ ও আর্জেন্টিনার বর্তমান ‘১০’ পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার পরিচয় দিয়েছেন। সেখানেই মাঠে এক দলের হয়ে খেলতে পারার আফসোস করেছিলেন এই ফরাসি।
‘অ্যাডিডাস’ জাদু করেছে এবং ফুটবলের দুই জিনিয়াসকে একত্রিত করেছে। একদিকে রিয়াল মাদ্রিদের কোচের পদ ছাড়ার পর থেকে দলবিহীন থাকলেও দীর্ঘদিন সাইডলাইন থেকে ফুটবল দেখছেন জিদান। অন্যদিকে বিশ্বকাপ জয়ী, সর্বশেষ ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসি।
‘তুমি কি আমাকে তোমার কিছু জাদু দিতে পারো? আফসোস যে আমরা একসঙ্গে খেলতে পারিনি,’ জিদান মেসিকে বলেছিলেন। ‘তবে তোমাকে বল পাস এটাই আমার সময়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন, কারণ আমি তাকে বলতে পারি যে আমি তাকে কতটা শ্রদ্ধা করি… আমি মনে করি এটা ম্যাজিক, খাঁটি ম্যাজিক।
মেসিও স্বীকার করেছেন, তিনিও জিদানের সঙ্গে একই দলে খেলতে চান। ‘আমি আপনাকে অনেক শ্রদ্ধা করি। আমরা একসঙ্গে খেলার জন্য যথেষ্ট ভাগ্যবান ছিলাম না, তবে আমরা ভাগ্যবান যে কোচ এবং খেলোয়াড় হিসাবে আমরা একে অপরের মুখোমুখি হতে পেরেছি। আপনি যা করেছেন এবং করছেন তার জন্য সবসময় শ্রদ্ধা করি, প্রশংসা করি,’ মেসি বলছিলেন।
জিদান ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে খেলেছেন। আর মেসির বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক ২০০৪ এ। খেলেছেন ১৭ বছর। এই সময়ের মধ্যে ২০০৫ সালে এল ক্লাসিকোতে জিদান মেসি মুখোমুখি হয়েছিলেন। এরপর ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জিদান মাদ্রিদের কোচ থাকাকালীন মেসি কয়েকবার মুখোমুখি হন খেলোয়াড় হিসেবে।
মেসি বলপন, ‘আমাদের পুরো জীবনে আমরা যারা ফুটবল খেলে বড় হয়েছি, তারা তার মতো হতে চেয়েছিলাম। যদিও কেউ তার মতো হতে পারেনি, এটি আমাদের স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষা ছিল। ম্যারাডোনা যা করেছিলেন তা অনুলিপি করার চেষ্টা করতাম।’
জিদান মেসি দুজনই একমত হন যে ‘নাম্বার টেন’ “হারিয়ে গেছে”। ‘আগে এটা সংযুক্তিতে প্রতিফলিত হতো, প্লে-মেকার। অনেক দল আছে যারা ৪-৩-৩ খেলে এবং ‘১০’ এর চেয়েও বেশি ভেতরে খেলায়। ৪-৪-২ এর সংগে এটা মানানসই নয়। এখনও কিছু খেলানো হয়। তবে তারা বেশি ভেতরে খেলে, বা বেশি বাইরে।’
মেসি বলেন, ‘আমাদের ‘১০’.. আর্জেন্টিনায়.. রিকেলমে, আইমার কজন ছিল…খুব কম বা কিছুই নেই। অনেক কিছু হারিয়ে গেছে,’ শেষ করেন মেসি।
সবশেষে দুজন দুজনকে নিজেদের সাক্ষর করা জার্সি বদল করেন।