স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্তোনিও মাতিও লাহোজ কী কাণ্ডটাই করলেন আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে! একটু কিছু হলেই কোনো কথা নেই, পকেট থেকে বের করে ফেলছিলেন কার্ড।
কাকে কার্ড দিতে বাদ রেখেছেন মাতিও? মাঠের খেলোয়াড়ের সঙ্গে কোচ, সাইড বেঞ্চের খেলোয়াড়, এমনকি পেনাল্টি করতে আসা ফুটবলারকেও হলুদ রঙয়ের কার্ড দেখাতে ছাড়েননি।
ম্যাচে সবমিলিয়ে মোট ১৯টি কার্ড দেখান রেফারি। যেখানে কার্ড দেখেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি আর সাপোর্ট স্টাফ ওয়াল্টার স্যামুয়েলও।
পেনাল্টি নিতে এসে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের ফুলব্যাক ডেঞ্জেল ডামফ্রিসকে।
মাঠে প্রবেশ করা খেলোয়াড়দের মোট ১৫টি কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি মাতিও। বিশ্বকাপের ইতিহাসে আর কোনো ম্যাচে এত বেশি কার্ড দেখানোর রেকর্ড নেই।
এমনকি যার পরিচিতি মাঠে ভদ্র খেলোয়াড় হিসেবে, সেই মেসিকেও কার্ড দিতে ছাড়েননি রেফারি। বদরাগী এই রেফারিকে নিয়ে ম্যাচের পর রীতিমত ক্ষোভ ঝেরেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
মেসি বলেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই না, বললে শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু আমার মনে হয়, এমন রেফারিকে এই ধরনের ম্যাচে দায়িত্ব দেওয়া উচিত না ফিফার। তিনি এর যোগ্যই না।’
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আরও বলেন, আমরা খুব একটা ভালো খেলিনি। সঙ্গে রেফারির কারণেই অতিরিক্ত সময়ে খেলা পৌঁছেছে। সে সব সময় আমাদের বিপক্ষে ছিল। এমনকি যে গোলটি দিয়ে সমতায় ফিরেছে ওরা, সেটাও ফাউল ছিল না।’
পেনাল্টি শুটআউটে ২ পেনাল্টি ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার নায়ক বনে যাওয়া এমিলিয়ানো মার্টিনেজও রেফারির আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক বলেছেন, ‘তিনি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বাজে রেফারি। তিনি খুবই রাগী। তাকে কিছু বললে তিনি খুবই বাজেভাবে এর উত্তর দেন।’