ক্যারিয়ারে কখনো গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিততে পারেননি দাভিদ নালবান্দিয়ান। একবার উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেছিলেন, অন্য কোনো গ্র্যান্ডস্ল্যামে তাও পারেননি। চারবার সেমিফাইনালে উঠে আটকা পড়েছেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুতে তাকে নতুন টেনিস তারকা বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই।
রজার ফেদেরারকে টানা পাঁচ ম্যাচে হারানো আর্জেন্টাইন তারকা ক্যারিয়ারে কখনো শৃঙ্খলিত ছিলেন না। তাই বলে তার বিরুদ্ধে এতটা ভয়ংকর অভিযোগ উঠতে পারে, সেটিও অকল্পনীয় ছিল। সাবেক বান্ধবীর বেডরুমে গোপন ক্যামেরা রেখে ভিডিও করার অভিযোগ উঠেছে নালবান্দিয়ানের বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই বছরের জুন পর্যন্ত মডেল আরসেলি তোরাদোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ৪১ বছর বয়সি নালবান্দিয়ানের। জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড বলছে, এর পর দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ইতালির পালেরমোতে নিজের অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতেন ২৯ বছর বয়সি তোরাদো। বিচ্ছেদ হচ্ছে দেখে বেডরুমে একটি ক্যামেরা লুকিয়ে রেখে যান নালবান্দিয়ান।
তোরাদোর ভাই বেড়াতে এসে একটা ভেন্টিলেটরের মধ্যে আলো জ্বলতে দেখেন। কৌতূহল হওয়ায় তা খুলে একটি ক্যামেরা খুঁজে পান। মডেল পুলিশের কাছে গেলেও প্রমাণের অভাবে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি তখন।
তোরাদো ও তার আইনজীবী হাল ছাড়েননি। নালবান্দিয়ানের সঙ্গে কথোপকথনের অডিও জোগাড় করা হয়েছে, যেখানে আর্জেন্টাইন তারকা ক্যামেরা রাখার কথা স্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যম সিফাইভএন বলছে, নালবান্দিয়ান নাকি বলেছেন— ‘আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো তোমার কাছে আমি ঠিক আছি কিনা। আবার দুজন এক হব— এটাই চাই। তুমি কি চাও সত্যি বলি? হ্যাঁ, আমিই ওটা করেছি। ইন্টারনেটের কারণে যদিও কিছু দেখতে পাইনি। আমি কিছু দেখিনি। তুমি যদি অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক গড়, কোনো সমস্যা নেই আমার।’
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে তোরাদো জানিয়েছেন, ‘আমি যে ঘটনার শিকার হয়েছিলাম এবং যার পেছনে দাভিদ নালবান্দিয়ানের ভূমিকা ছিল, এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আছে। তাদের জানাতে চাই, আমি একটি ফৌজদারি মামলা করছি এবং সংশ্লিষ্ট দেওয়ানি আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি৷ আমার সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’
অভিযোগ প্রমাণিত হলে যৌন হয়রানি ও স্টকিংয়ের (গোপনে অনুসরণ) অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন নালবান্দিয়ান।