নাসিম রুমি: মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) অভিষেকেই ইন্টার মায়ামিকে জেতালেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। মেসি ঝলকে নিউ ইয়র্ক রেড বুলসকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে মায়ামি। মেসির অভিষেক গোলের পাশাপাশি দলের হয়ে বাকি গোলটি করেন ডিয়েগো গোমেজ।
বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে মুখোমুখি হয় দুই দল। টানা খেলার ক্লান্তি কাটাতেই এই ম্যাচে শুরুর একাদশে মেসিকে রাখেননি কোচ টাটা মার্টিনো। মেসিবিহীন মায়ামি শুরু থেকে দারুণ খেলতে থাকে। তবে একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না।
অবশেষে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে এসে নিউ ইয়র্ক বুলসের রক্ষণ ভেদ করে মায়ামি। নোয়াহ অ্যালেনের ক্রসে বল পেয়ে মাঠের ডানদিক থেকে বামপায়ের জোরালো শটে ‘দ্য হেরনস’দের এগিয়ে নেন গোমেজ। গোল পেয়ে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে মার্টিনোর দল।
বুলসের সীমানায় বেশ কয়েকবার বল নিয়ে ঢুকে পড়লেও জাল খুঁজে পাননি মায়ামির খেলোয়াড়রা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েও দুই দলের কেউ আর তেমন কিছু করতে না পারায় ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় মায়ামি ও বুলস।
বিরতির পরপরই ৬০ মিনিটের মাথায় মেসিকে নামান মার্টিনো। মেসি নামতেই বদলে যায় মায়ামির খেলার ধরণ। বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়ের ছোঁয়া পেয়ে চাঙ্গা হয়ে ওঠেন দলের বাকি ১০ জন। আর তাতেই ম্যাচের ৮৯ মিনিটের মাথায় দেখা গেল দলীয় বন্ধনের অপরূপ প্রদর্শনী।
মাঝমাঠে থেকে এক খেলোয়াড়ের বাড়ানো বল ধরে বুলসের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিন মায়ামি খেলোয়াড়। একজন ব্যাক ভলিতে বল দেন মেসির পায়ে। মেসি কয়েক সেকেন্ডের ম্যাজিক শেষে ক্রিমাশ্চিকে পাস দিয়েই এগিয়ে যান সামনে। ফিরতি পাসে বল আবার চলে আসে মেসির কাছে। পায়ের হালকা স্পর্শে বাকি কাজটা সারেন তিনি।
এ নিয়ে সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মায়ামির জার্সিতে ৯ ম্যাচে ১১ গোল করলেন মেসি। অন্যদিকে টেবিলের তলানিতে থাকে মায়ামিও টেবিলে একধাপ উপরে উঠে এসেছে। এ জয়ে ২৩ ম্যাচে ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট এখন ২১।