ঘটনাবহুল ম্যাচের শুরুতেই আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। ১৯তম মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন লিভারপুলের ডিফেন্ডার ইব্রাহিম কোনাতে। এরপর ৪২তম মিনিটে ইউয়ানে উইসা গোল করলেন। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লিভারপুল।
তাদের ভাগ্য ভালো যে প্রথমার্ধে ব্যবধানটা ৪-০ হয়নি। এ জন্য ভিএআরকে ধন্যবাদ দিতে পারে লিভারপুল। কারণ, রেফারি গোলের বাঁশি বাজানোর পরও ভিএআরের কল্যাণে দুটি গোল বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৫ মিনিট পর, খেলার ৫০তম মিনিটে আলেক্স ওক্সলাডে চেম্বারলিন একটি গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে আরও একটি গোল হজম করতে হয় লিভারপুলকে। ব্রায়ান এমবেউমো গোল করে ব্রেন্টফোর্ডের জয় নিশ্চিত করেন।
ব্রেন্টফোর্ডের এই মৌসুমে জায়ান্ট বধ এই প্রথম নয়। এর আগে আগস্টে লিগের প্রায় শুরুর দিকে ম্যানইউকে ৪-০ গোলে এবং এরপর এক ম্যাচে ম্যানসিটিকেও ২-১ গোলে হারিয়েছিলো। এবার লিভারপুলকে হারালো ৩-১ গোলের ব্যবথানে।
টানা চার ম্যাচ জয়ের হেরে গেলো লিভারপুল। হারলেও ৬ষ্ঠ স্থানেই রয়েছে লিভারপুল। তবে টটেনহ্যামের ওপরে ওঠার যে সুযোগ ছিল সেটা হারিয়েছে। ১৭ ম্যাচে লিভারপুলের অর্জন ২৮ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ৫ম স্থানে টটেনহ্যাম। ১৬ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ম্যানইউ। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে ব্রেন্টফোর্ড।
ব্রেন্টফোর্ড মাঠে নেমেছিলো তাদের টপ স্কোরার ইভান টনিকে ছাড়াই। ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি তিনি। তবে, সেরা স্কোরার ছাড়াও সঠিক গেম প্ল্যান এবং তার বাস্তবায়নের ফলেই দারুণ একটি জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্রেন্টফোর্ড।