বিশ্বকাপের টপ ফেবারিটদের অন্যতম আর্জেন্টিনা। তারা খেলবে, জিতবে এবং একের পর এক বাধা টপকে এগিয়ে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা সমর্থকদের। শুধু তাই নয়, ১৮ ডিসেম্বর ভিক্টোরি পোডিয়ামে লিওনেল মেসির হাতে শিরোপাটা উঠবে, সেটাই সবচেয়ে বড় চাওয়া আর্জেন্টাইনদের।
কিন্তু তাদের সেই স্বপ্নে শুরুতেই বড় ধরনের হোঁচট দিলো সৌদি আরব। আরব দেশটির কাছে ২-১ গোলের হারে বড় অঘটনের শিকার হয়েছে লা আলবিসেলেস্তারা।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগে আরও পাঁচবার প্রথম ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে একবার তারা আবারও ফাইনালেও উঠেছিল। দিয়েগো মারাডোনার মতো ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও হেরেছিল তারা এবং ফাইনাল খেলেছিল।
যদিও সৌদি আরবের মতো ফিফা র্যাংকিংয়ে এত নিচে থাকা কোনো প্রতিপক্ষের কাছে হার যে আর্জেন্টিনার আত্মবিশ্বাসে অনেকটা ধাক্কা দেবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েছিল আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৩৪ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সুইডেনের কাছে ২-৩ গোলে হেরে বিদায় নেয় তারা। সেবার শুরু থেকেই নকআউট পদ্ধতিতে বিশ্বকাপে খেলা হয়। আর্জেন্টিনা হারে প্রথম ম্যাচেই।
এরপর ১৯৫০ এবং ১৯৬২ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেনি। ১৯৫৮ সালেও প্রথম ম্যাচে হেরে যায় তারা। পশ্চিম জার্মানির কাছে ১-৩ গোলে হেরেছিল আলবিসেলেস্তারা।
১৯৭৪ সালে প্রথম ম্যাচে পোল্যান্ডের কাছে হারে ২-৩ গোলে। এরপর ১৯৮২ বিশ্বকাপেও তারা প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ০-১ ব্যবধানে হেরে যায়।
মাঝে ব্যতিক্রম ছিল ১৯৮৬ সালে। সেবার জিতেই শুরু করেছিল এবং দিয়েগো ম্যারাডোনার সৌজন্যে বিশ্বকাপও জিতেছিল আর্জেন্টিনা।
১৯৯০ সালে ট্রফি জয়ের দাবিদার হিসেবে নেমেছিল আর্জেন্টিনা; কিন্তু সেবার ক্যামেরুনের কাছে প্রথম ম্যাচে ০-১ গোলে হেরে যায় ম্যারাডোনার দল। কিন্তু সেই হারের ধাক্কা সামলে একের পর এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যান লা আলবিসেলেস্তারা। কিন্তু পশ্চিম জার্মানির কাছে ফাইনালে হারতে হয়, যে ম্যাচকে অনেকেই মনে করেন জোর করে হারানো হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।
সেবারই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারে আর্জেন্টিনা। গতবার তারা প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল আইসল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার আবার হারতে হল নীল-সাদা জার্সিধারীদের। মেসিরা কি এবার প্রয়াত ম্যারাডোনার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে?