পেশাদার ফুটবলে দুজনেরই পথচলা শুরু একুশ শতকের শুরুর দিকে। দুই দশক পেরিয়ে ২০২৫ সালে এসেও বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় দুই চরিত্র লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বয়সের সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু।
বিপণন কৌশল ভালো জানায় রোনাল্ডো হয়ে উঠেছেন ক্রীড়া বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড। এই তালিকায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পরের স্থানে আছেন মেসি। মাঠে ও মাঠের বাইরে বহুমাত্রিক প্রভাবের কারণে ৪০ বছর বয়সি রোনাল্ডো ও ৩৮ ছুঁইছুঁই মেসিকে ধরে রাখতে মরিয়া তাদের ক্লাব। দুজনই চুক্তি নবায়নের কাছে।
সৌদি ক্লাব আল নাসরের সঙ্গে রোনাল্ডোর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে জুনে। স্পোর্টস ইতালিয়া জানিয়েছে, পর্তুগিজ মহাতারকাকে এরই মধ্যে দুই বছরের নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে আল নাসর। বর্তমান চুক্তিতে বছরে ২০০ মিলিয়ন ইউরো পারিশ্রমিক পান রোনাল্ডো, যা ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ। নতুন চুক্তিতে বেতন আরও বাড়বে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গেছে মিয়ামির। নতুন চুক্তি হবে এক থেকে দুই বছরের। মিয়ামি চায়, ২০২৬ সালের মার্চে ক্লাবের নতুন স্টেডিয়াম ফ্রিডম পার্কের উদ্বোধনী ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেবেন মেসি। বর্তমান চুক্তিতে বছরে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পান আর্জেন্টাইন মহাতারকা, যা এমএলএসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। নতুন চুক্তিতে বেতন আরও বাড়বে।
ক্যারিয়ারের শেষভাগে এখন দুই ফুটবলার। তারপরও আকাশচুম্বী বেতনে ধরে রাখতে এত মরিয়া কেন তাদের ক্লাব? বাণিজ্যিক স্বার্থের পাশাপাশি পারফরম্যান্সেরও বড় ভূমিকা আছে এখানে।
ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৯৩১ গোল করা রোনাল্ডো জিতেছেন ৩৩টি শিরোপা। আল নাসরের হয়ে এখন পর্যন্ত ১০৪ ম্যাচে করেছেন ৯৪ গোল। অ্যাসিস্ট ১৯টি। অন্যদিকে ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৫৮ গোল মেসির। জিতেছেন রেকর্ড ৪৫টি শিরোপা। মিয়ামির হয়ে ৪৮ ম্যাচে ৪২ গোল ২১ অ্যাসিস্টে যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলের সমার্থক হয়ে উঠেছেন মেসি।
অতীতের মতো উজ্জ্বল আধুনিক ফুটবলের দুই দিকপালের বর্তমান। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে ১৫ গোল ও একটি অ্যাসিস্ট রোনাল্ডোর। প্রতি ৯৬ মিনিটে করেছেন একটি গোল। অন্যদিকে নয় ম্যাচে আট গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট মেসির। প্রতি ৮৫ মিনিটে একটি গোল। এমন সোনার ডিম পাড়া হাঁস কে ছাড়তে চাইবে।