কাতার বিশ্বকাপে একাধিক ইস্যুতে ফিফার খবরদারিতে অসন্তুষ্ট ইউরোপের দেশগুলির ফুটবল ফেডারেশনগুলো। সমকামিতার সমর্থনে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরা নিয়ে ফিফার কড়া অবস্থানের ইতোমধ্যেই সমালোচনা করেছেন অনেকেই। অনেকেই মুখ না খুলেও নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশ্বকাপের মাঝে সরাসরি ফিফার বিরুদ্ধে সংঘাতে নামতে চাইছে না কোনও দেশই। তবে এরই মাঝে এবার এক রিপোর্টে দাবি করা হল, বিশ্বকাপ শেষ হতেই ফিফা ছাড়ার হিড়িক পড়তে পারে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে।
কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে প্রথম থেকেই সমালোচনার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার ভোটাভুটির সঙ্গে দুর্নীতির যোগ স্পষ্ট হয়েছে গত কয়েক বছরে। এসব সত্ত্বেও সেই কাতারেই বিশ্বকাপ আয়োজিত হচ্ছে এবার।
এদিকে এরই মাঝে কাতারের চাপে পড়ে ফিফা একাধিক এমন পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে চটেছেন ফুটবলার, ফুটবলপ্রেমী থেকে ইউরোপের বহু ফুটবল ফেডারেশন। এরেই প্রেক্ষিতে ডেনমার্ক বিভিন্ন দেশের ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ফিফা ছাড়া নিয়ে আলোচনা করতে চলেছে বলে দাবি করা হয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে।
ড্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান জেস্পার মোলার বলেন, “আমরা এখনই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা অন্যান্য নর্ডিক দেশগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে গত আগস্ট থেকে আলোচনা করছি। আমরা যদি একা ফিফা ছাড়ি তাহলে তা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে। আমাদের এই বিষয়ে পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। উয়েফার অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য ৫৫টি দেশের সঙ্গে আমরা এই নিয়ে কথা বলব।”
এদিকে ইনফান্তিনো ফের একবার ফিফার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচনে লড়বেন। তবে ইনফান্তিনোকে কোনওভাবেই ড্যানিশ ফেডারেশন সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছেন মোলার।
উল্লেখ্য, জার্মান ফুটবলাররা বিশ্বকাপের তাদের প্রথম ম্যাচে ফিফার প্রতি তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদ দেখাতে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ছবি তুলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের পর ফিফাকে টিকিয়ে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হতে পারে ইনফান্তিনোকে।
তবে এটিকে গুজব বলে দাবি করেছে ড্যানিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিইউ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড নিয়ে সমালোচনার পর ফিফা ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ডেনমার্ক- এ ধরনের গুজবের কোনও সত্যতা নেই।
ডিবিইউর যোগাযোগের প্রধান জ্যাকব হোজার একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “কিছু মিডিয়ার ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে।”