মোনালিসার দেশে পদার্পণ ঘটে গেল বিশ্বসেরা ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির। আর বার্সেলোনা নয়, মঙ্গলবার থেকে আগামী দু’বছর লিওনেল মেসির ঠিকানা প্যারিস।
চরম অর্থসংকটে ভোগা বার্সেলোনা থেকে চোখের পানিতে মেসির বিদায় ঘটে যায় দিন কয়েক আগে। মেসি বার্সা ছাড়ছেন, এ খবরের পরই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল যে তিনি প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে যাচ্ছেন। যেখানে সৃষ্টি হতে চলেছে, ফুটবল বিশ্বের ভয়ঙ্করতম ফরোয়ার্ড লাইন ‘এমএনএম’। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে। মেসির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার জন্য আগাম আইফেল টাওয়ার বুক করে ফেলেছিল পিএসজি। সবই চলছিল, সবই হচ্ছিল, শুধু একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছিল না। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও হল মঙ্গলবার।
২০ বছরের বেশি সময় ধরে মেসি যে শহরের বাসিন্দা ছিলেন তা এখন থেকে শুধুই স্মৃতি আর্জেন্টিনা মহানায়কের কাছে। সাপ্তাহিক এক মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তিতে আগামী দু’বছরের জন্য পিএসজিতে চুক্তিবদ্ধ হলেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি প্যারিসের বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখামাত্র সমর্থকদের আবেগ-বিস্ফোরণ ঘটল। ক্লাবের বিশাল পতাকা নিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছিল বহু সংখ্যক সমর্থক, কখন প্রাণাধিক প্রিয় লিওকে দেখবেন তারা। শেষ পর্যন্ত লিও বের হলেন সপরিবারে। প্যারিস সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়াতে নাড়াতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে মেসিকে স্বাগত জানাল পিএসজি। রাতের আইফেল টাওয়ারে আবার ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’ আয়োজন করে মেসির আগমনের সদর্প ঘোষণা করল ক্লাব। মেসির ফুটবলজীবনে নতুন ভোর ঘোষণা করল পিএসজি। কবিতার দেশে পদার্পণ করতেই একলাফে জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়ে ফেলল ক্লাবটি। ক্লাবের সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার সংখ্যা একদিনে বাড়ল ২০ লাখ। ইনস্টাগ্রামে রাতারাতি নতুন ফলোয়ার হয়েছে ২০ লাখ। ফেসবুকেও একদিনে বেড়েছে ২ লাখ ফলোয়ার। মেসির প্রতি মুহূর্তের আপডেট পেতে পিএসজির টুইটার পেজেও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে নেটিজেনদের সংখ্যা। সব মিলিয়ে অগণিত ভক্তের ভালবাসা নিয়ে নয়া পথ চলা শুরু মেসির।