রেকর্ডের বন্যায় যেন ভাসছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুদিন আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে একটি রেকর্ডে ওয়েইন রুনিকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে পাঁচবার মাসসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ইংলিশ লিগে, যে রেকর্ড ইউনাইটেড তারকাদের মধ্যে আগে শুধু রুনিরই ছিল। তারও কিছুদিন আগে গত মাসে ইরানের সাবেক স্ট্রাইকার আলী দাইয়িকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন।
কাতারের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমেও একই কাহিনি। ম্যাচটা ছিল রোনালদোর ক্যারিয়ারে পর্তুগালের হয়ে ১৮১তম। ইউরোপের জাতীয় দলগুলোর কোনো খেলোয়াড় এর চেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি।
ইউরোপের দলগুলোর মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এত দিন ছিল স্পেনের ডিফেন্ডার সের্হিও রামোসের। স্পেনের হয়ে ১৮০ ম্যাচ খেলেছেন এ মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদ থেকে পিএসজিতে নাম লেখানো এ তারকা ডিফেন্ডার। পরের ম্যাচেও রেকর্ডের সঙ্গে মিতালি করেছেন রোনালদো। লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে এখন ১০টি হ্যাটট্রিক রোনালদোর। জাতীয় দলের হয়ে এত বেশি হ্যাটট্রিক কারওই নেই।
সব মিলিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন রোনালদো। মন-মেজাজ ভালো আছে দেখেই কি না, প্রিয় বান্ধবীকে কোটি টাকার উপহার দিয়েছেন। উপহারটা বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের এতটাই পছন্দ হয়েছে যে তিনি নাকি রীতিমতো ‘বাকরুদ্ধ’।
জর্জিনাকে ডিজাইনার অলংকার রাখার এক বাক্স উপহার দিয়েছেন রোনালদো। ১.৩৮ মিটার লম্বা লুই ভুতোঁ মল ভেনদোম অলংকারের এই ক্যাবিনেটে আছে একটা আয়না ও আটটি দেরাজ। নিজের সব অলংকার এখন এখানেই রাখবেন জর্জিনা। ১ লাখ ২০ হাজার ইউরো যার দাম। বাংলাদেশি মুদ্রায় বান্ধবীকে এই উপহার দিতে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে রোনালদোকে। অবশ্য নামটা যখন রোনালদো, তাঁর কাছে টাকার এই পরিমাণ নস্যিই মনে হওয়ার কথা!
উপহার পেয়ে জর্জিনা এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে অলংকারের বাক্সটির ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি বাকরুদ্ধ, ক্রিস্টিয়ানো!’
দুজন সেই ২০১৬ সাল থেকে একসঙ্গে আছেন। জর্জিনাকে যে রোনালদো নিজের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ভাবেন, তার প্রমাণ রোনালদোর চতুর্থ সন্তানের মা এই আর্জেন্টাইন-পর্তুগিজ মডেল। রোনালদোর মেয়ে আলানা মার্তিনার মা জর্জিনা।