টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে রোববার রাতে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে ম্যানসিটি। যে কারণে পয়েন্ট টেবিলে আরও পিছিয়ে পড়েছে তারা। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে, ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে একটি থ্রু বল নিয়ে দৌড় দিয়েছিলেন সিটি ফুটবলার জ্যাক গ্রিলিশ। এ সময় তার সামনে কেউ ছিল না। হয়তো এই চেষ্টাতে একটি গোলও পেতে পারতো সিটি।
কিন্তু গ্রিলিশ দৌড় দিতেই বাঁশি বাজিয়ে খেলা থামিয়ে দেন রেফারির সিমোন হুপার। সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিটি ফুটবলার আরলিং হালান্ড। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার পাশে সিটি ফুটবলার রুবেন দিয়াজ, জ্যাক গ্রিলিশ এবং মাতেও কোভাচিচরা রেফারিকে ঘিরে ধরে খেলা থামিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। যদিও এরপর রেফারি নির্বিঘ্নেই মাঠ ত্যাগ করেন।
এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টের মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন হালান্ড। একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি শুধু লিখে দেন ‘wtf’।
খেলোয়াড়দের এমন আচরণের দায়ে ম্যানসিটিকে অভিযুক্ত করেছে ইংলিশ ফুটবল ফেডারেশন এফএ। ধারণা করা হয়েছিলো, এফএ’র পক্ষ থেকে হয়তো ফুটবলারদেরই দায়ী করা হবে এবং তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে। বিশেষ করে হালান্ডকে। কিন্তু এফএ হালান্ড কিংবা অন্য কোনো ফুটবলারকে নয়, সিটিকেই অভিযুক্ত করেছে- খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণে।
এফএর একটি সূত্র ইএসপিএনকে জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের আচরণের মধ্যে তারা কোনো নিয়মভঙ্গের কারণ খুঁজে পায়নি। তবে, খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণে ক্লাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এফএ’র আচরণবিধির ই২০.১ এর লঙ্ঘণ হয়েছে বলে এক বিবৃতি জানিয়েছে ইংলিশ ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এফএর বিধির ই২০.১ লঙ্ঘণ করেছে ম্যানসিটি ফুটবলাররা। টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজানোর পর রেফারিকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করে সিটি ফুববলাররা। এ কারণে তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’
‘আগামী ৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ম্যানসিটিকে সময় দেয়া হলো, এই অভিযোগের জবাব দেয়ার জন্য।’
সিটির পক্ষ থেকে জবাব পাওয়ার পর শুনানির মাধ্যমে হয়তো শাস্তি কী হবে সে ব্যাপারে জানাতে পারে এফএ’র ডিসিপ্লিনারি কমিটি।