কলম্বিয়ার বিপক্ষে পায়ে চোট পেয়েছিলেন। কলম্বিয়ান ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকলের কারণে এক সময় দেখা যায়, মেসির পা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। পায়ে পরা মোজা রক্তে লাল হয়ে আছে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে পুরোটা সময়ই বলতে গেলে সেই রক্তাক্ত পা দিয়েই খেলেছেন মেসি। এরপর টাইব্রেকারে প্রথম শটটিও নিলেন তিনি।
কিন্তু দলকে ফাইনালে তোলার পর ভক্ত-সমর্থকদের মনে শঙ্কা, মেসির সেই ইনজুরির অবস্থা কী? তার পা যে রক্তাক্ত হয়েছিল, তার সর্বশেষ খবর কী? ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনালে ঠিকমত খেলতে পারবেন তিনি?
মেসির বাঁ-পায়ের অবস্থা দেখে যারা আঁতকে উঠেছিলেন, তারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। ভোর হলেই কোপা আমেরিকা ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে নামার সম্ভাবনাই বেশি আর্জেন্টিনা মহা তারকার। অন্তত আর্জেন্টিনা শিবির থেকে এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কোপা সেমিফাইনালে ফ্র্যাঙ্ক ফাবরার নির্মম ট্যাকলের কারণে চোট পান মেসি। এরপর রক্তাক্ত হয়ে পড়ে তার বাঁ পায়ের গোড়ালির ঠিক উপরে; কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি আর্জেন্টিনার সুপারস্টারকে। সেই রক্তাক্ত বাঁ-পা নিয়েই দিব্যি খেলে গেলেন তিনি।
তবে টিভি ক্যামেরা বারবার দেখিয়েছিল মেসির পায়ের অবস্থা কী, মেসির রক্তাক্ত পায়ের ছবি ভাইরালও হয়। এরপরই প্রশ্নে ওঠে, মেসি কোপা ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে নামতে পারবেন তো?
আর্জেন্টিনা শিবির থেকে বলা হচ্ছে, মেসির আদতে কোনো চোট নেই। ফাবরারের প্রচণ্ড শট তার পায়ে আছড়ে পড়েছিল বলে পা রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছিল। আর্জেন্টিনা দলের সূত্রে জানা যাচ্ছে, মেসির পায়ে লাগছে অল্প; কিন্তু সেটা সিরিয়াস কিছু না। তিনি ঠিকই আছেন। এটাও বলা হচ্ছে, মেসির চোট নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সব কিছু এমন চললেই আগামী রোববার কোপার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে নামছেন।
মাঠে না নেমে উপায়ও নেই আর্জেন্টিনা মহানায়কের। এতদিন ধরে দেশের হয়ে খেলছেন মেসি; কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা ট্রফিও পাননি দেশের হয়ে। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও পারেননি। পারেননি, দু’বার কোপার ফাইনাল খেলেও। বলা হচ্ছে, দেশের হয়ে ট্রফি জেতার এটাই হয়তো শেষ সুযোগ মেসির। সেই সুযোগ এখন আর সামান্য পায়ের চোটের কারণে ছেড়ে দেবেন না গ্রহের এই সেরা ফুটবলার।