সম্প্রতি এক নারীর দায়ের করা যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ব্রাজিলের তারকা ডিফেন্ডার দানি আলভেজকে। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে দানি আলভেজকে লম্বা সময় ধরে খুব কাছ থেকে দেখেছেন বার্সেলোনা বস জাভি হার্নান্দেজ। দুজনের মাঝে খুবই সুসম্পর্ক আছে। তাই আলভেজ গ্রেপ্তার হওয়ায় বিস্ময়ে হতবাক জাভি।
আজ রবিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে গেতাফের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। তার আগের দিন শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আলভেজের প্রসঙ্গ উঠলে জাভি বিস্ময় গোপন করেননি। তিনি বলেন, ‘দানিকে নিয়ে বললে, তার জন্য আমার খারাপ লাগছে। দানি যেমন মানুষ এবং যখন আমাদের সঙ্গে ছিল তখন সে যেমন ছিল, সেই সময়ের কথা ভেবে আমি অবাক হয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে মন্তব্য করা কঠিন। আমি বিস্মিত, হতবাক হয়ে গেছি। এটি এখন ন্যায় বিচারের বিষয়।’
‘২৭ জানুয়ারি সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পল জনসনের ন্যাটো ইস্যুতে তুরস্ক সফরের সব তাৎপর্য হারিয়ে ফেলেছে। তাই আমরা তার সফর বন্ধ করে দিয়েছি’- বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকবর।
জবাবে সুইডিশ মন্ত্রী পল জনসন শনিবার রাতে এক টুইটার বার্তায় এ বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, তিনি জার্মানির ন্যাটো ঘাঁটি রামস্টেইনে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পরিকল্পিত বৈঠকটি স্থগিতের ব্যাপারে একমত হন।
একটি ফলো-আপ টুইটে তিনি আরো বলেন, তুরস্কের সঙ্গে সুইডেনের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যৌথ নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত ইস্যুতে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা উচিত।
শনিবারের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রয়েছেন কোরআন পোড়ানো ডেনিশ উগ্রবাদী নেতা রাসমাস পালুদান, যিনি স্টকহোমের ডিপ্লোম্যাট জোনে অবস্থিত তুর্কি দূতাবাসের কাছে জনসভা করার অনুমতি পেয়েছেন।
এএফপি জানিয়েছে, রাসমুস পালুদানকে তুর্কি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়ার কারণেই সুইডিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে তুরস্ক বাধ্য হয়েছে।
তবে তুর্কিপন্থী সংগঠন ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান তুর্কি ডেমোক্র্যাটস (ইউইটিডি) নামের সংগঠনটিও দূতাবাসের বাইরে তুরস্ক ও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের সমর্থনে বিক্ষোভ করার অনুমতি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া এরদোয়ান এবং সুইডিশ ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ডিপ্লোম্যাটিক জোনের উত্তর-ব্যান্টোরগেট থেকেও একটি বিক্ষোভ মিছিল হতে পারে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সুইডেনের অবস্থান না নেওয়া অগ্রহণযোগ্য। অন্তত ন্যাটো ইস্যুর কথা ভেবে হলেও সুইডেনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল।’
এমনকি তুরস্কের আইনমন্ত্রী বাকান বোজদাগ পালুদানের বিক্ষোভ সম্পর্কে টুইটারে ক্ষুব্ধ হয়ে সুইডেন এবং সুইডিশ পুলিশকে নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেন, ‘সুইডেন আমাদের পবিত্র গ্রন্থের বিরুদ্ধে একটি জঘন্য কাজের অনুমতি দিয়েছে।’
তুরস্কের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রোজাভা কমিটিও রয়েছে, যারা গত সপ্তাহে স্টকহোমের সিটি হলের বাইরে এরদোয়ানের একটি কুশপুত্তলিকা ওপর-নিচ করে ঝুলিয়েছিল।
ঘটনাটি তুরস্কে মারাত্মক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল এবং একইভাবে সুইডিশ পার্লামেন্টের স্পিকারের নির্ধারিত এক রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করেছিল তুরস্ক। বিক্ষোভকারীরা এরদোয়ানকে ইতালীয় স্বৈরশাসক এবং ফ্যাসিবাদী বেনিটো মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করেছিল, যাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।