জ্যামাইকার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের আগের দিন ফ্লুতে ভুগছিলেন, তাই শুরুর একাদশে ছিলেন না লিওনেল মেসি। তবে ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে মাঠে নেমে তিনি করেছেন জোড়া গোল। আর্জেন্টিনার ৩-০ গোলের জয়ের ম্যাচে তিনবার ভক্তবিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন মেসি।
জ্যামাইকার বিপক্ষে ম্যাচে নিরাপত্তাবলয় ভেদ করে তিনবার তিন মেসিভক্ত মাঠে ঢোকে। এ জন্য নিউ জার্সির রেড বুলস অ্যারেনার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভক্তদের এমন কাণ্ডে খেলাও বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। মেসির অটোগ্রাফ, সেলফি কিংবা একটু স্পর্শ করাই ছিল ভক্তদের উদ্দেশ্য।
এদিকে মেসিদের মতো প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ব্রাজিলও। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত পার্ক দেস প্রিন্সেসে ৫-১ গোলে জয় পেয়েছে সেলেসাওরা। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন রাফিনহা। অন্য দুটি গোল এসেছে রিচার্লিসন ও নেইমারের পা থেকে। তবে এই ম্যাচে দর্শকদের ভালোবাসার পরিবর্তে ‘কলা’ পেয়েছেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন।
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ১৯তম মিনিটে গোলটি করেন রিচার্লিসন। গোলের পর মাঠের ডান দিকের কোনায় উদযাপনের সময় তাকে কলা ছুড়ে মারে এক দর্শক। কলাটি লাথি মেরে মাঠ থেকে ফেলে দেন ফ্রেড। কিন্তু তাতে ক্ষান্ত হয়নি সমর্থকরা। এরপর কলার সঙ্গে আরো কিছু ছুড়ে মারতে থাকে তারা। ঘটনা শেষ হয়নি এখানেও। রাফিনহার করা তৃতীয় গোলেও একই ঘটনা ঘটে। তখন কলাটি কুড়িয়ে রেফারিকে দেন এই বার্সা তারকা। এমনকি নেইমারের পেনাল্টি শট নেওয়ার সময়ও ঘটে।
এ ঘটনায় এক বিবৃতি দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ), ‘দুর্ভাগ্যবশত, গোলের পরে দ্বিতীয় ব্রাজিলিয়ান গোলদাতা রিচার্লিসনের দিকে একটি কলা ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল। সিবিএফ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে এবং যেকোনো পক্ষপাতমূলক কাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করে। ’