কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে লিওনেল মেসির দ্বিতীয় গোল নিয়ে চলছে বিতর্ক। ফরাসি গণমাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে- ওই গোলের সময় আর্জেন্টিনার দুই বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। যে কারণে গোলটি বাতিল করার দাবি উঠেছে। ভুল রেফারিংয়ের জন্য রেফারি সিমন মার্চিনিয়াকের বিরুদ্ধে অনলাইন পিটিশন তৈরি করে সাক্ষর চলছে।
কিন্তু গোলটি কি আসলেই অবৈধ?
বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন ফাইনালের রেফারি সিমন মার্চিনিয়াক। পোল্যান্ডের এই রেফারি দেশে ফিরে নিজ শহর প্লোক-এর মেয়রের কার্যালয়ে সংবর্ধনা পেয়েছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের কাছে মার্চিনিয়াক বলেন, মেসির গোল মোটেও অবৈধ ছিল না। বরং তিনি দাবি করেন যে, কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলের সময় ফ্রান্সের ৭ জন ফুটবলার মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন।
প্রমাণ হিসেবে মোবাইল ফোনে ম্যাচের একটি ছবি দেখিয়ে ৪১ বছর বয়সী এই রেফারি বলেন, ‘আমি বলব ফরাসি সংবাদমাধ্যম বোকার মতো কাজ করেছে। কিছু জিনিস তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে। আমাদের কাছে এমন একটি ছবি আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সের গোলের সময় ওদের ৭জন বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিল। ‘
ফিফার আইন অনুযায়ী, গোলের মুহূর্তে কোনো খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়লেই গোল বাতিল হয় না। যদি মাঠে ঢুকে পড়া খেলোয়াড়েরা গোলের ক্ষেত্রে কোনো হস্তক্ষেপ করে বা প্রভাব রাখে- তখনই সেই গোল বাতিল হয়। কিন্তু মেসির গোলের সময় মাঠে ঢুকে পড়া আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা অনেক দূরে ছিলেন। মার্চিনিয়াকও বলেছেন, এ নিয়ে কেউ তার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়াটাই সবচেয়ে বড়। ম্যাচ শেষে অলিভিয়ের জিরু এসে আমার সঙ্গে হাত মেলাল। উগো লরিস, কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হাত মেলাল, ধন্যবাদ দিল। ওদের কেউ রেফারিং নিয়ে কোনো অভিযোগ জানায়নি। আমাদের পারফরম্যান্সের দিক থেকে ফাইনাল নিখুঁত ছিল না। কিছু ছোটখাটো বিশৃঙ্খলা হয়েছে। তবে আমি আমার মতো করে সামলে নিয়েছি। ‘