দ্রুতগতিতে শট ব্লক করার পাশাপাশি আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগকে অফসাইডের ফাঁদে ফেলার ‘হাই লাইন ডিফেন্স’ কৌশল নেয় সৌদি আরব। এতে সফলও হয়েছে তারা। আর্জেন্টিনার ভয়ংকর আক্রমণভাগকে ১০ বার অফসাইডের ফাঁদে ফেলেছে সৌদি আরব। যার মধ্যে বাতিল হয়েছে তিনটি গোলও। সৌদি হাই-ডিফেন্সের চাতুরী বুঝে মুভগুলো সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময় দেরিতে করলেই অফসাইডে বাতিল হওয়া তিনটি গোলই পেতো আর্জেন্টিনা।
মেসির পেনাল্টির পর পুনরায় সংগঠিত হতে হাফটাইমে পর্যন্ত অপেক্ষা করে সৌদি আরব। বিরতির পর আকস্মিক চড়াও হয়ে ৫ মিনিটের মাথায় দুটি গোল করে তারা। এ জন্য বিশেষ ধন্যবাদ পেতেই পারেন সালেহ আল সেহরি ও সালেম আল দাওসারি।
২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও সৌদি আরব তাদের হাই ডিফেন্সিভ লাইন কৌশল বদলায়নি। বরং খেলার শেষ পর্যন্ত একই কৌশলে ধরে রেখেছিল তারা।
সৌদির এমন জয়ে বড় প্রশংসার দাবিদার দলটির ফরাসি কোচ হার্ভ রেনার্ড। দুটি দেশের হয়ে আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সজয়ী একমাত্র কোচ হার্ভে রেনার্ড। ২০১৯ সালে সৌদি আরব জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। অত্যন্ত অভিজ্ঞ ও কৌশলী এই ফরাসি দারুণ সফল হয়েছেন দেশটির কোচের দায়িত্ব নিয়েই। দেশটির কোচের দায়িত্ব পালনকারী বিদেশি কোচদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯ ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন রেনার্ড।
সৌদি আরবের মূল শক্তির জায়গা তাদের ডিফেন্স। সেটাকে কাজে লাগিয়ে দারুণ এক প্রতিরক্ষাব্যূহ তৈরি করেছেন রেনার্ড। বাছাই পর্বের ১২ ম্যাচে কোনও গোলই হজম করেনি তার দল। ম্যাচের আগেও যিনি দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা পিকনিক করতে আসিনি। সৌদিদের তাদের দল নিয়ে গর্ব করাতেই এখানে এসেছি।’
সেটাই অবশ্য করে দেখিয়েছে টিম সৌদি আরব।