বিশ্বকাপটাই এত দিন ছিল অধরা। অবশেষে সেটাও পেয়ে গেলেন লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপের আসর জুড়ে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে দলকে পথ দেখানো আর্জেন্টিনা অধিনায়ক আলো ছড়ালেন ফাইনালেও। তাতে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জিতলেন তিনিই। এতে ইতিহাসের এমন এক পাতায় নাম লেখালেন আর্জেন্টাইন মহানায়ক, যেখানে পা পড়েনি আর কারো। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে দুইবার সেরা খেলোয়াড় হলেন তিনি।
২০১৪ সালে প্রথমবার পুরস্কারটি জিতেছিলেন মেসি। তার নেতৃত্বে সেবারও ফাইনাল খেলেছিল আর্জেন্টিনা। জার্মানির বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তে মারিও গোটসের গোলে হেরে শিরোপা ঘরে তোলার স্বপ্ন ভাঙে তাদের। অবশেষে এবার ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্ব সেরার মঞ্চে ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটায় মেসির আর্জেন্টিনা। ফাইনালে দুই গোল করার পাশাপাশি চলতি আসরে মোট ৭টি গোল করেন মেসি। সতীর্থের তিনটি গোলে রাখেন অবদান। ৩৫ বছরে এসেও মাঠে জাদুকরী সব মুহূর্ত উপহার দেন এই মহাতারকা।
মেসির বিশ্বকাপ জয়ের পর তাকে সবচেয়ে প্রথম অভিনন্দন জানিয়েছেন তার ক্লাব সতীর্থ নেইমার। ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রোনালদো নাজারিও অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি মেসিকে। শুধু তাই নয় টুইটারে প্রশংসাবাণীও লিখেছেন রোনালদো।
মেসিদের প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে রোনালদো লিখেন, এই ছেলেগুলোর ফুটবল যে কোনো প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আমি দেখেছি দুর্দান্ত এই ফাইনালে হাজার হাজার ব্রাজিলিয়ান এবং সারা বিশ্বের অগণিত মানুষ মেসির জন্য গলা ফাটিয়েছে। এই অসাধারণ প্রতিভাবান ফুটবলারকে একটি বিদায় সংবর্ধনা জানানোর জন্য এই বিজয় যথেষ্ট। বিশেষ করে এমন একজন ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে, যিনি হলেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। যুগের সেরা। অভিনন্দন মেসি।