গত নভেম্বরে রিও দে জেনেরোর ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা মাঠের লড়াই শুরুর আগেই গ্যালারিতে শুরু হয় সমর্থকদের লড়াই। সেই ঘটনায় এবার দুই দলকেই শাস্তি দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। তবে ব্রাজিলের থেকে বেশি শাস্তি পেতে হয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশনকেই জরিমানা করেছে ফিফা। এ ছাড়াও আগের ম্যাচগুলোর ঘটনার জের ধরে সমর্থকদের সচেতনতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টাইন ফেডারেশনকে।
স্টেডিয়ামের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে না পারায় ব্রাজিলের ফেডারেশনকে ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (৫৯ হাজার ডলার) জরিমানা করেছে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি। স্টেডিয়ামের ভেতরে বা আশেপাশে শৃঙ্খলার ঘাটতির দায়ে আর্জেন্টিনার ফেডারেশনকে জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার সুইস ফাঁ (২৩ হাজার ডলার)।
মারাকানা স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠের গড়ানোর আগেই গ্যালারিতে শুরু হয় সমর্থকদের লড়াই। খেলা শুরুর একটু আগে দুই দলের সমর্থকরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ দ্রুত ছুটে গেলে পুলিশের সঙ্গেও লেগে যায় দর্শকদের। দ্রুতই পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
এ ছাড়াও বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আগের দুটি ম্যাচেও আর্জেন্টাইন সমর্থকরা অসদাচরণ করায় আর্জেন্টাইন ফেডারেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমর্থকদের বৈষম্য-বিরোধী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় আরও ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ খরচ করতে।
ঘরের মাঠে উরুগুয়ে ও একুয়েডরের বিপক্ষে ওই দুটি ম্যাচে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছিল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তাই ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ স্থগিত জরিমানাও করা হয়েছে আর্জেন্টাইন ফেডারেশনকে। ৬ মাসের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করলে এই জরিমানা গুনতে হবে।
এখানেই শেষ হয়নি মেসিদের শাস্তি, বাছাইপর্বের সামনের কোনো একটি ম্যাচে মোট আসনের অর্ধেক খালি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টাইন ফেডারেশনকে। ঘরের মাঠে তাদের পরের ম্যাচ চিলির বিপক্ষে আগামী সেপ্টেম্বরে। তাই সেই ম্যাচে দর্শকদের পূর্ণ সমর্থন পাবে না স্বাগতিকরা।