কাতার বিশ্বকাপে লুসাইল স্টেডিয়ামে সার্বিয়ান রক্ষণে আগুন ঝরিয়ে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। জোড়া গোল ও নিখুঁত নৈপুণ্যে সাজানো পারফরম্যান্সে বনে গেলেন জয়ের নায়ক। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোল ব্যবধানে জয় পায় তিতের শিষ্যরা।
জোড়া গোলে ব্রাজিলের হেক্সা মিশনের নেতৃত্বই যেন দিলেন টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ফুটবলার। এদিন সব আলো কেড়ে নেওয়া রিচার্লিসন কিনা একসময় মাদক কারবারিদের হাতে আটক হয়েছিলেন।
ব্রাজিলের উত্তরপূর্ব অঞ্চলের নোভা ভেনেকিয়ার দরিদ্র এক পরিবারে জন্ম এই ফরোয়ার্ডের। তার বাবা ছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি ও মা পরিচ্ছন্নতাকর্মী। পথে পথে নানান প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেছেন পরিবারের বড় এই সন্তান।
ব্রাজিলের এই তারকা অল্প বয়সে আইসক্রিম ও চকলেট বিক্রি করতেন। তার বন্ধুরা সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু সে পথে হাঁটেননি তিনি।
তার বাবা ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন, ছেলে বড় হয়ে ফুটবলার হবে, এজন্য মাত্র ১৪ বছর বয়সেই ছেলেকে দশটি ফুটবল কিনে দিয়েছিলেন। একসময় এক মাদক কারবারির হাতে আটক হয়েছিলেন। তবে সেবার ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেন টটেনহ্যাম হটস্পারের এই তারকা। এরপর থেকে আর কখনোই রাস্তায় খেলা হয়নি ব্রাজিলিয়ানের। হুট করিয়ে ঘুরে যায় তার জীবন-গল্প। যাত্রা শুরু হয় পেশাদার ফুটবলার হিসেবে। খেলেন ব্রাজিলের প্রথম সারির লিগে। ক্রমেই জায়গা করে নেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি এই তরুণের।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৬২তম মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকদেরও উল্লাসে মাতান রিচার্লিসন। আক্রমণে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সরাসরি জালের ঠিকানা খুঁজে নেন টটেনহ্যামের এ তারকা ফুটবলার। এরপর ৭১তম মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অ্যাসিস্ট থেকে দলের ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রিচার্লিসন।
ব্রাজিলের জার্সিতে ৩৯ ম্যাচে ১৯ গোল করেছেন রিচার্লিসন। এর মধ্যে বিশ্বমঞ্চে অভিষেকের ম্যাচে করেছেন দুই গোল।