স্বাগতিক কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের পরই এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি টিকিট কিনেছে সৌদি আরবের লোকজন। কাতারের সঙ্গে স্থলভাগে যুক্ত যে একমাত্র দেশ, সেটিও এই সৌদি আরব। কাতারের এই মহাযজ্ঞে তারা দলে দলেই শামিল হয়েছে। আর এই সৌদিদের সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য দুটোই বলা যায়, নিজেদের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাওয়া।
লিওনেল মেসিকে দেখার আবেগ জাতীয় আবেগকেও কখনো-সখনো ছাপিয়ে যায় কি না, তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। সৌদিরা এই বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হচ্ছে নিজেদের মতো করে, তবে গণমাধ্যমের চোখেও তারা আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ, সেটাই বড় খবর। আরো কৌতূহলের বিষয় হলো-এই সৌদিরা সাতবারের বিশ্বসেরা তারকা লিওনেল মেসিকে কিভাবে সামলান সেটা নিয়ে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সৌদি ডিফেন্ডার আলী আল বুলাইহির কাছেও স্বাভাবিকভাবে সেই প্রশ্নই গেছে।
আল হিলালে খেলা ৩২ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার কিন্তু চলমান শোরগোল থেকে নিজেদের দূরেই রাখতে চেয়েছেন। নইলে কি আর মেসিকে নিয়ে প্রশ্নেও তাঁর এমন উত্তর, ‘আমরা পুরো একটা দলের বিপক্ষে খেলব, কোনো একজন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে না। লড়াইটা ১১ জনের বিপক্ষে ১১ জনের। ’ এমনকি প্রতিপক্ষ হিসেবে আর্জেন্টিনাকেও আলাদা চোখে দেখে চাপ নিতে তিনি রাজি নন। বুলাইহি বলছিলেন, ‘আমরা গ্রুপের তিনটি ম্যাচের জন্যই তৈরি হচ্ছি, শুধু এক আর্জেন্টিনার জন্য নয়। আমি আবারও বলছি, এই ম্যাচটাও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে, নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের বিপক্ষে নয়। ’
সৌদিরা লিওনেল স্কালোনিকেও একেবারে ভাবাচ্ছে না বলা যায় না। দলটি শেষ আট ম্যাচের মাত্র একটিতে হেরেছে, সেটি সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। আর এ বছর খেলা ১৪ ম্যাচে মাত্র ৮ গোল হজমও বলে শক্তিশালী আক্রমণভাগের সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার মতো খেলোয়াড় তাদের রক্ষণেও আছে। এবার নিয়ে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে সৌদি আরব। গতবার শুরুটা হয়েছিল তাদের বেশ বাজেভাবে, রাশিয়ার কাছে ৫-০তে হেরে। মেসির দলকেও কিন্তু প্রথম ম্যাচে রুখে দিয়েছিল আইসল্যান্ড।