বর্ণবাদ বিরোধী ফুটবল ম্যাচ। তাও বর্ণবাদের আঁতুড়ঘর স্পেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্সেলোনায়। দুই প্রতিপক্ষের একটি আফ্রিকান দেশ গিনি। এমনিতেই জাতিতে কালো তারা। অন্যটি, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বর্ণবাদী আচরণের শিকার ব্রাজিল। বর্ণবাদের প্রতিবাদে কালো জার্সি পরেই গিনির বিপক্ষে এক অর্ধ খেলেছিলো তারা।
বর্ণবাদ বিরোধী এই লড়াইয়ে গোল করেছেন সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি বর্ণবাদী আচরণের শিকার ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। গোল পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে তার সতীর্থ রদ্রিগোও। তাদের নৈপুণ্যে আফ্রিকান দেশ গিনির বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে ব্রাজিল।
স্প্যানিশ লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে খেলার সময় চরম বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাকে বানর বলা হয়েছিলো। শুধু তাই নয়, তার মৃত্যু পর্যন্ত কামনা করা হয়েছিলো তখন। যে কারণে মাঠেই কেঁদে দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার। শুধু সেবারই নয়, পুরো মৌসুমে প্রায় ১০বার এমন বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
ভিনিসিয়ুসের প্রতি এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পুরো ফুটবল বিশ্ব। ফিফা সভাপতি তার প্রতি সমর্থন জানান। ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা ভিনিসিয়ুসকে রক্ষার আহ্বান জানান। ব্রাজিল ফুটবল দল ঘোষণা করে বর্ণবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে ইউরোপেই তারা দুটি আফ্রিকান দেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে।
যার প্রথমটি অনুষ্ঠিত হলো শনিবার রাতে বার্সেলোনার আরসিডিই স্টেডিয়ামে, গিনির বিপক্ষে। অন্যটি অনুষ্ঠিত হবে ২০ জুন পর্তুগালের রাজধানী লিজবনে, সেনেগালের বিপক্ষে।
গিনির বিপক্ষে বর্ণবাদ বিরোধী লড়াইয়ের এই ম্যাচে ব্রাজিল প্রথমার্ধে পরেছিলো কালো জার্সি। এটাও ছিলো তাদের একটি প্রতিবাদ। দ্বিতীয়ার্ধে পরেছিলো ঐতিহ্যবাহী হলুদ-নীল জার্সি।
ম্যাচের ২৬তম মিনিটে প্রথম গোলের সূচনা করেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার জোয়েলিন্টট। পাল্টা আক্রমণ থেকে পাওয়া বলটি ডি-বক্সের খুবই কাছ থেকে তিনি শট করে জড়িয়ে দেন গিনির জালে। ব্রাজিলের জার্সিতে নিজের অভিষেকটা রাঙিয়ে নিলেন জোয়েলিন্টট।
মাত্র চার মিনিট (৩০) পরই রদ্রিগোর গোল। বলা যায় অপ্রতিরোধ্য ছিলেন তিনি এ সময়। অনেক দুর থেকে বল নিয়ে এসে গিনির জালে জড়িয়ে দেন তিনি।