নাসিম রুমি: চড়াই-উৎরাই তো আর জীবনে কম পাড়ি দেননি লিওনেল স্কালোনি। ফুটবলার হিসেবে খুব বড় কোনো নাম ছিলেন না।
আপৎকালীন হিসেবে যখন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তখনও কত সমালোচনা ঘিরে ধরেছিল তাকে।
দেশটির সবচেয়ে বড় তারকা দিয়েগো ম্যারাদোনা তো বলেই দিয়েছিলেন, ‘ও তো ঠিকঠাক ট্রাফিকও সামলাতে পারবে না, তার কাঁধে জাতীয় দলের দায়িত্ব!’ ম্যারাদোনা পরপাড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন অবশ্য আর্জেন্টিনার হয়ে স্কালোনি সাফল্য পাওয়ার আগেই। তিনি থাকলে নিশ্চয়ই তার কথা যে ভুল ছিল, স্বীকার করতেন।
আর্জেন্টিনাকে পরের দুই বছরে সবকিছুই জিতিয়েছেন স্কালোনি।
কোপা আমেরিকা, ফিনালেসিমা, ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ। এই কোচের কাছে তাই কৃতজ্ঞ থাকার কথা সব আর্জেন্টাইন সমর্থকেরই।
আলবিসেলেস্তেদের হেড কোচের দায়িত্বে পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে স্কালোনির। অথচ দায়িত্ব নেওয়ার পর কখনোই তিনি ভাবেননি থাকবেন এতদিন।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে জয় পাওয়ার পর স্কালোনি ফিরে গিয়েছিলেন অতীতে, ‘যখন আমি শুরু করেছিলাম, ভাবিনি যে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে পাঁচ বছর থাকতে পারবো। সত্যিই এখন পাঁচ বছর হয়ে গেছে। কঠিন সময় ছিল অনেক। এখন এসে অনুভব করছি সময় চলে গেছে। অভিজ্ঞতার সঙ্গে উন্নতি করেছি। ’
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা পড়েছিল বেশ বিপাকেই। ৭৮ মিনিটে এসে ফ্রি কিক থেকে গোল করে দলকে জেতান মেসি। ম্যাচের কয়েক মিনিট বাকি থাকতে তাকে তুলে নিয়েছিলেন স্কালোনি। স্বাভাবিকভাবে আর্জেন্টিনার ম্যাচগুলোতে দেখা যায় না এমন। স্কালোনি স্পষ্ট করে বলেছেন, বদলটা হয়েছিল মেসির চাওয়াতেই।
তিনি বলেন, ‘মেসিই তাকে তুলে নিতে বলেছিল। যদি সে না বলতো, আমি তাকে তুলতাম না এটা পরিষ্কার ব্যাপার। পরে আমরা তার মূল্যায়ন করবো কী অবস্থায় আছে কিন্তু আমাকে মেসিই বদলাতে বলেছিল। ’
বলিভিয়ার বিপক্ষে মেসিকে পাওয়া যাবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে স্কালোনি বলেন, ‘আমি সত্যিই এখন বলতে পারছি না তার কী অবস্থা। সে আমাকে বদলাতে বলেছিল। আগামীকাল কিছু পরীক্ষা করে দেখবো। যদি সে ঠিকঠাক থাকে, তাহলে তো খেলবে। যদি ঠিক না থাকে, আমরা দেখবো কী করা যায়।