ব্রাজিলের জন্য বর্তমান সময়টা ভালো যাচ্ছে না। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দুই ম্যাচে এক জয়ের বিপরীতে এক ম্যাচে হেরেছে তারা। নিজেদের শেষ ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে ১-০ গোলে হারে সেলেসাওরা। ২০০৮ সালের পর থেকে কখনোই ৯০ মিনিটের খেলায় এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হারতে হয়নি ব্রাজিলকে। তাই তো এমন হারের পর সমর্থকদের মতো হতাশ হয়েছেন ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার গেরসনও।
ক্যামেরার সামনে ব্রাজিল দল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দলের ফর্মেশন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যেই বর্তমান স্কোয়াড লেখা কাগজ ফেলেছেন ডাস্টবিনের বাক্সে।
ব্রাজিলের স্কোয়াড লেখা কাগজ ছেঁড়ার সময় গেরসন বলছিলেন, এই দায় কেবল খেলোয়াড়দের, আর কারোরই না। আর যে ফর্মেশন আমরা প্যারাগুয়ের বিপক্ষে দেখেছি, আমি সেটা এখানে ছুঁড়ে মারবো। আমি আর এই দল নিয়ে কোনো পরোয়াই করি না।
সাম্প্রতিক সময়টাই অবশ্য ব্রাজিলের পক্ষে যাচ্ছে না কোনোভাবেই। বাছাইপর্বের ৮ ম্যাচে এখন পর্যন্ত তারা হেরেছে ৪ ম্যাচেই। জয় পরাজয়ের নিরিখে এটাই ব্রাজিলের বাছাইপর্বের সবচেয়ে বাজে ফলাফল। ২০০৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৭১ ম্যাচ খেলে মাত্র ৫টিতে হেরেছিল ব্রাজিল। কিন্তু এবার ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৮ ম্যাচ খেলেই ৪ হার।
ব্রাজিলের গণমাধ্যম জানাচ্ছে, দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইপর্বের বিচারে এটাই ব্রাজিলের সবচেয়ে বাজে দল! এর আগে কখনোই শুরুর ৮ ম্যাচ পর্যন্ত এতটা বিধ্বস্ত ছিল না ব্রাজিল। সবশেষ এমন বিধ্বস্ত অবস্থা ছিল ২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে, কার্লোস দুঙ্গার অধীনে।
সেবারে সেবার ৮ ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের সংগ্রহ ছিল ১৩ পয়েন্ট। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে নবম ম্যাচে ৪-০ গোলের জয়ে ব্রাজিলের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ১৬ পয়েন্ট। আর এবারে ৮ ম্যাচে ৪ হারের সুবাদে সেলেসাওদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট।
আগামী অক্টোবরে চিলির বিপক্ষে নিজেদের নবম ম্যাচটি খেলবে দরিভালের দল। ওই ম্যাচটি জিতলে ৯ ম্যাচে ব্রাজিলের সংগ্রহ দাঁড়াবে ১৩ পয়েন্ট। ২০১০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নিজেদের ৯ম ম্যাচে জয় পেয়েছিল ব্রাজিল। সেবারে বাছাইপর্বের প্রথমভাগের ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের সংগ্রহ ছিল ১৬। আর এবারে ১৩ হবে কি না তা নিয়েই যথেষ্ট শঙ্কা আছে।