দুই দলই বেশ শক্তিশালী। ইউরোপের পরাশক্তি হিসেবে গণ্য করা হয় তাদের। ফিফা র্যাংকিংয়েও প্রথম সারির দল দুটি। কিন্তু প্রায় সম শক্তির দুটি দলের লড়াই শেষে ফল দেখলে বোঝা যায়, এক তরফা খেলেছে নেদারল্যান্ডস। উয়েফা নেশন্স কাপে বেলজিয়ামের মাটিতে তাদেরকেই ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে এসেছে ডাচরা।
ফিফা র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেলজিয়াম। আর ১০ নম্বরে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। তবে র্যাংকিংয়ের এই পার্থক্য মাঠে খুব একটা প্রতিফলিত হলো না। বরং উল্টোটা হয়েছে। বার্সেলোনা তারকা মেমপিস ডিপেই করেছেন জোড়া গোল। বাকি দুই গোল করেন স্টিভেন বার্গুইন এবং ডেনজেল ডামফ্রিজ। বেলজিয়ামের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মিকি বাতসুয়াই।
প্রতিবেশি দেশ বেলজিয়ামের বিপক্ষে গত ২৫টি বছর জয়হীন ছিল নেদারল্যান্ডস। অবশেষে উয়েফা নেশন্স কাপে এসে সেই আক্ষেপ ঘোচালো তারা। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে বেলজিয়ামকে হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এর মধ্যে ৮টি ছিল ডার্বি।
শুধু তাই নয়, ঘরের মাঠে পরাজয়ই যেন ভুলে গিয়েছিল বেলজিয়ানরা। ৬ বছর ঘরের মাঠে অপরাজিত ছিল তারা। অবশেষে বেলজিয়ামের সেই রেকর্ডও ভেঙে দিলো ডাচরা। এই ৬ বছরের মধ্যে তিন বছর ফিফা র্যাংকিংয়ে শীর্ষে ছিল তারা।
ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য দুই দল খেলছিল সমানতালে। কিন্তু ৪০তম মিনিটে এসে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন স্টিভেন বার্গুইন। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে বেলজিয়ামের জালে বল জড়ান তিনি। বেলজিয়ামের পোস্টের নিচে অবশ্য এদিন থিবো কর্তোয়া ছিলেন না। পোস্ট আগলানোর দায়িত্বে ছিলেন সিমোন মিগনোলেট।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরপরই আরো একটি গোল করে নেদারল্যান্ডস। এবার গোলদাতা মেমপিস ডিপেই। ম্যাচের বয়স একঘণ্টা পার হওয়ার পরই আরও একটি গোল করে ডাচরা। এবার গোলদাতা ডেনজেল ডামফ্রিজ। ডাচদের গোল উৎসব তখনও থামেনি। ৬৫তম মিনিটে বেলজিয়ামের জালে চতুর্থবারেরমত বল জড়ায় নেদারল্যান্ডস। এবার নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ডিপেই।
ম্যাচের শুরুতেই (২৭তম মিনিটে) ইনজুরির শিকার হয়ে মাঠ চেড়েছিলেন বেলজিয়ান তারকা রোমেলু লুকাকু। যে কারণে তাদের মূলতঃ গোল করারই কেউ ছিল না বলতে গেলে। তবে, ম্যাচ শেষ হওয়ার খানিক আগে, ইনজুরি সময়ে (৯০+৩ মিনিট) একটি গোল শোধ করেন বেলজিয়ামের মিকি বাতসুয়াই।
ডাচদের কাছে হারের পর বেলজিয়াম গোলরক্ষক মিগনোলেট বলেন, ‘কঠিন এক মৌসুম শেষে এই ম্যাচটি খেলতে নামতে হলো। তবে এটাকে কোনোভাবেই অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানোর ইচ্ছা আমাদের নেই। বিশেষ করে যখন আপনি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে নামবেন। আমাদেরকে অবশ্যই এ থেকে (পরাজয়) শিক্ষা নিতে হবে।’
নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ভিরগিল ফন ডাইক বলেন, ‘আমরা তাদেরকে বেশ ভালোভাবেই বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয়েছি এবং যে প্ল্যান নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম, সেগুলো ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।’