দুই মাস পার হয়ে গেছে। কিন্তু কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুরহস্য নিয়ে জল্পনা চলছেই। কারও দাবি, কিংবদন্তি এই ফুটবলারের ঠিকমতো খেয়াল রাখা হয়নি। আবার কারও দাবি, ম্যারাডোনার অসুস্থতার ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেননি চিকিৎসকরা। মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার দুই সপ্তাহ পরেই হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ডিয়াগো ম্যারাডোনা।
এদিকে, ডিয়াগো ম্যারাডোনার কন্যা ডালমা দাবি করেছেন, তার বাবার মৃত্যুর দিন নিউরোসার্জেন লিওপোল্ড লুক এবং সাইক্রিয়াটিস্ট অগাস্টিনা কোসাচভের অডিয়ো বার্তা শুনে তিনি বমি করেছিলেন। ২৫ নভেম্বর, ২০২০। ম্যারাডোনার মৃত্যুর দিন লিওপোল্ড লুকএবং অগাস্টিনা কোসাচভের সেই কথোপকথোনের অডিও স্থানীয় মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর সময় তার বাড়িতেই ছিলেন সাইক্রিয়াটিস্ট অগাস্টিনা কোসাচভ। যিনি সকল তথ্য লুককে আপডেট করছিলেন। সেই ফাঁস হওয়া অডিও বার্তায় রয়েছে, “আমরা ঘরে ঢুকলাম। এবং তখন দেখি (তিনি) ঠান্ডা। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সব সারকুলেশন মার্ক করি। তারপর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করি। এতে তার কথা সামান্য শোনা যায়। শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। এই সবকিছু হয়েছিল ১০ মিনিটের মধ্যেই। আমরা ম্যানুয়াল সিপিআর করতে থাকি। এর মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্সও আসে।”
এই অডিও বার্তা শোনার পরেই ম্যারাডোনার মৃত্যুর জন্য লুক, মারাদোনার আইনজীবী এবং এজেন্ট মাতিয়াস মোরাকে দায়ী করেছেন ম্যারাডোনার কন্যা ডালমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “আমি লুক এবং সাইক্রিয়াটিস্টের মধ্যে কথাবার্তার অডিও শুনে বমি করেছিলাম। আমি কেবল ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা করি ন্যায়বিচার হয়েছে।”