নাসিমরুমি: আর্জেন্টিনার মহাতারকা লিওনেল মেসি একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন, কিন্তু তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কখনই বাংলাদেশে আসেননি। এই দুই মহাতারকাকে ঘিরে গোটা ফুটবলবিশ্বের মতো বাংলাদেশও দুই ভাগে বিভক্ত।
ভক্তদের মনে নিশ্চয়ই একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়- পর্তুগিজ মহাতারকা কি জানেন হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশ সম্পর্কে? তিনি কি জানেন, এই দেশে অসংখ্য ভক্ত আছে তার? প্রশ্নট করার জন্য রোনালদোর নাগাল পাওয়া তো সহজ বিষয় নয়।
অনেকটা লটারি জয়ের মতোই ব্যাপার। সেই ব্যাপারটাই ঘটে গেল গতকাল শনিবার। এদিন পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজকে নিয়ে নৈশভোজে গিয়েছিলেন সিআর সেভেন।
সেখানেই তার নাগাল পাওয়া যায়। নৈশভোজের ফাঁকেই তিনি সকলের সাথে কুশল বিনিময় এবং ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন। ওই রেস্টুরেন্টে আমি শেফ হিসেবে কাজ করি।
রোনালদো পিজার অর্ডার দিলে নিজে হাতে সেটা বানিয়ে দেই। সেই পিজা খেয়ে পর্তুগিজ মহাতারকা খুব খুশি। প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কোন দেশ থেকে এসেছ?’ আমি বলি- ‘বাংলদেশ থেকে এসেছি।
আমাদের দেশে তোমার অসংখ্য ভক্ত আছে। ‘ এ কথা শুনেই রোনালদো বলে ওঠেন- ‘আমি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানি। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। তোমার কঠোর পরিশ্রমী। তোমাদের জন্য শুভকামনা।
এরপর আমি তাকে জানাই, ‘তুমি তো ফেসবুকে ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছ। রানির শেষকৃত্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
শুনে রোনালদো বলেন, ‘বাহ, এটা তো দারুণ ব্যাপার। ‘ প্রায় পাঁচ ঘণ্টার মতো সেই রেস্টুরেন্টে সময় কাটান রোনালদো। ছবি তোলার প্রস্তাবে কোনো আপত্তি করেননি।
একপর্যায়ে তিনি নিজ কণ্ঠে সবাইকে গান গেয়ে শোনান। ভিনগ্রহের এক ফুটবল তারকার সঙ্গে সময়টুকু কেটে গেল স্বপ্নের মতো।