নাসিম রুমি: সব আলোটা কেড়ে নিয়েছিলেন রদ্রি হার্নান্দেজ। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র থাকছেন না ব্যালন ডি’ অরের মঞ্চে। এমন খবর আসার পর থেকেই সবার নজরে ছিলেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। ইনজুরির কারণে এই মুহূর্তে মাঠে নেই। ক্রাচে ভর করেই উঠেছিলেন ব্যালন ডি’ অরের মঞ্চে। ৬৪ বছর পর নিজ দেশে নিয়ে গেলেন মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি।
একইদিনে রেকর্ডের পাতায় নিজের নামটা তুলেছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক গোলরক্ষক লেভ ইয়াশিনের নামে ২০১৯ সাল থেকে বর্ষসেরা গোলরক্ষককে ইয়াশিন ট্রফি দিচ্ছে ফ্রান্স ফুটবল। সেরা গোলরক্ষকের এই তার হাতেই উঠছে এটা অনেকটাই অবধারিত ছিল শুরু থেকেই। প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে দুইবার জিতলেন ফ্রান্স ফুটবলের সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি।
ব্যালন ডি’ অরের সেরা ৩০-এর মাঝে একমাত্র গোলরক্ষক ছিলেন আর্জেন্টিনার এমি মার্তিনেজ। গেল মৌসুমে অ্যাস্টন ভিনাকে প্রায় ৬০ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরিয়েছেন। আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন কোপা আমেরিকা। স্বাভাবিকভাবেই তাই সেরা গোলরক্ষকের ইয়াসিন ট্রফির জন্য এগিয়ে ছিল আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের নাম।
২০২০ সাল থেকে ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায় খেলছেন আর্জেন্টিনার এই গোলরক্ষক। প্রিমিয়ার লিগের দলটিতে দুর্দান্ত সব সেভ করে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন মাঠে আর মাঠের বাইরের ক্ষ্যাপাটে এই গোলরক্ষক। গত মৌসুমে সেরা চারে থেকে ভিলার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরায় বড় অবদান রেখেছেন তিনি।
পুরস্কারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মার্তিনেজ বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় পুরস্কার। সব সময়ই আমি জাতীয় দলের হয়ে একটি ম্যাচ খেলার স্বপ্ন দেখে এসেছি। এতো কম বয়সে ইংল্যান্ডে আসা, অ্যাস্টন ভিলা ও জাতীয় দলে খেলা। এটা একবার জেতাই অনেক সম্মানের, সেখানে পরপর দুইবার জিততে পারা! আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না।’
এমি অবশ্য নিজেকে সেরা হিসেবে দেখতে নারাজ ‘নিজেকে আমি সেরা হিসেবে দেখি না। অনেক ভালো গোলরক্ষক আছে, যাদের আমি প্রতি সপ্তাহেই দেখছি। আমি কেবল দলীয় প্রচেষ্টাকেই গুরুত্ব দিই আর নিজের উন্নতি করতে চাই। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে আমরা উন্নতির ধারাটা ধরে রাখতে চাই।’