নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৭৭ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ভিরগিল ফন ডাইক। কিন্তু লাল কার্ডের কলঙ্ক নামের পাশে ছিল না। গতকাল শুক্রবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে লাল কার্ড দেখলেন ডাচ ডিফেন্ডার। সেটিও আবার অদ্ভূত কায়দায়। তিন মিনিটের ব্যবধানে দুটি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ৬ ফিট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার এই ডিফেন্ডারকে।
শুক্রবার উয়েফা নেশনস লিগে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন ফন ডাইক। কিন্তু রেফারির এই সিদ্ধান্ত সহজে মেনে নিতে পারছেন না লিভারপুল ডিফেন্ডার।
প্রথমবার ফন ডাইককে হলুদ কার্ড দেখানো হয় ৭৬ মিনিটে। উগ্র আচরণের দায়ে তাকে সতর্ক করেন রেফারি। সতীর্থ দনইয়েল মালেন ফাউলের শিকার হলে প্রতিবাদ করতে যান ফন ডাইক। মালেনের পায়ে সরাসরি আঘাত করেছিলেন হাঙ্গেরির আতিলা ফিওলা। এর প্রেক্ষিতেই রেফারির সঙ্গে তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ফন ডাইক। তখন সফরকারী নেদারল্যান্ডস পিছিয়ে ১-০ গোলে।
তিন মিনিট পর ফাউল করেন ফন ডাইক নিজেই। এতে রেফারি সরাসরি তাকে দ্বিতীয়বারের মতো হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখান। রেফারির এই সিদ্ধান্তই ক্ষিপ্ত করেছে ফন ডাইককে।
ম্যাচ শেষে ফন ডাইক বলেন, ‘(লাল কার্ড) একটি বিতর্কিত বিষয়। এটি হওয়া উচিত ছিল না। তবে আমি প্রথমটির (হলুদ কার্ড) জন্য বিশেষভাবে রাগান্বিত। তারা বলে যে অধিনায়কই শুধু রেফারির সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আমি তার কাছে চলে যাই। কিছুটা রেগে গিয়ে, কিন্তু খারাপ উপায়ে নয়, একেবারেই নয়। খুব সম্মানজনকভাবেই তার সঙ্গে কথা বলতে যাই। কারণ, আমি অনুভব করেছি যে, একজন খেলোয়াড় এটি (ফাউল) করেছিল, তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এতে অধিনায়কও যদি কিছু বলতে না পারেন, তবে এটি কঠিন হয়ে যায়।’
ফন ডাইককে লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্তে বিভ্রান্ত হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কোচ রোনাল্ড কোম্যানও। তিনি বলেন, ‘সেই মুহূর্তটি হতাশাজনক ছিল। আমি এটা বুঝতে পারছি না। আমি মনে করি, একজন অধিনায়ক রেফারির কাছে প্রতিবাদ জানাতে পারেন। ওই ফাউল (ম্যালেনের উপর) একটি লাল কার্ডের উপযুক্ত ছিল। (হাঙ্গেরির আতিলা ফিওলার) বলে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না (অর্থাৎ সেটি লাল কার্ডের যোগ্য)। ভিরগিলের দ্বিতীয় কার্ড ঠিক হয়নি। সে (ফন ডাইক) নিজেই তা জানে।’
শুক্রবার ৩২ মিনিটে প্রথম লিড নেয় হাঙ্গেরি। স্বাগতিকর দলের হয়ে গোল করেন রোনাল্ড সালাই। ১০ জনের দল নিয়ে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে সমতাসূচক গোল পায় নেদারল্যান্ডস। গোল করেন ডেনজেল ডামফ্রাইজ।