নাসিম রুমি: বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক তারকা গোলকিপার মোহাম্মদ মহসীন মানসিক ভারসাম্য হারান বছর দেড়েক আগে। তাকে নিয়ে দেশের জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে লেখা-লেখির পর মিলেছিল সহায়তার আশ্বাস। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিলেন, তবে সেরে ওঠেননি।
এখনও মহসীনের অবস্থার তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। আশি-নব্বই দশকে যাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাওয়া মানে ছিল আকাশের চাঁদ পাওয়া। সেই তারকা ফুটবলার মহসিন দুদিন নিখোঁজ ছিলেন, পড়ে ছিলেন তেজগাঁও রেলস্টেশনে।
নিখোঁজের পর অবশেষে মহসীনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। আজ সকালে তেজগাঁও রেলস্টেশন থেকে জিআরপি পুলিশ তাকে খুঁজ পেয়ে রিকশায় করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। সকালেই ঠিকঠাক বাসার ঠিকানা অনুযায়ী রিকশাচালক মহসীনকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে।
তার ছোট ভাই কোহিনুর ইসলাম পিন্টু বলেন, ‘আজ সকাল ৬ টার পর একজন রিক্সাওয়ালা ভাইকে (মহসীন) তেজগাঁও রেল স্টেশন থেকে বাসায় পৌঁছে দেয়। বাসায় ফিরে ভাই স্বাভাবিক আচরণ করে বলেন, বাইরে গিয়েছিলাম। চলে আসলাম। উনি যে তিনদিন নিঁখোজ ছিলেন, সেই স্মৃতিই তার নেই। আমরা তাকে আগামী রবিবার শ্যামলীর মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউটে নিয়ে যাবো।’
মহসীনকে খুঁজে পেতে থানায় জিডি সহ বাসা সংলগ্ন এলাকা সহ আশপাশে পোস্টারিং করা হয়েছিল। সেই সূত্রে হয়তো কেউ মহসীনকে চিনতে পেরেছেন বলে মনে করছেন ভাই পিন্টু।
তিনি বলেন, ‘মহসীন কীভাবে তেজগাঁও রেলস্টেশনে গেলো, বোধগম্য হচ্ছে না। ওর পুরো শরীরে ধুলোবালুতে একাকার। ওখানেই মনে হয় পড়ে ছিল। জিআরপি পুলিশ আমাকে ফোন করেছিল। ওরাই রিকশা করে বাসায় পাঠায়।’
পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখে চোখে থাকতেন মহসীন। তবে মঙ্গলবার হঠাৎ করেই অন্যদের নজর এড়িয়ে বাসা থেকে বের হন তিনি।