কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে বেশ বিপদেই পড়েছিল আর্জেন্টিনা। মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর সরাসরি শুরু হয় টাইব্রেকার। যেখনে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম শটটি নিতে এসেই লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। পোস্টের মাঝামাঝি ‘পানেনকা’ শট নিতে গিয়ে বল মেরে বসেন ক্রসবারে। শেষমেশ এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বীরত্বে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আলবিসেলেস্তেরা।
ম্যাচ শেষে টাইব্রেকারে নেওয়া সেই মিস করা শট নিয়ে মেসি বলেন, ‘নিজের ওপর খুবই বিরক্ত লেগেছে। ভেবেছিলাম কিকটা ভালো হবে। আমি (আর্জেন্টিনার দুই গোলকিপার) দিবু ও রুইয়ের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছিলাম। এই কিকটা অনুশীলন করা হয়নি, তাই কথা বলে নিয়েছিলাম। আমি বলটা আস্তে করে মারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উঁচুতে উঠে গেছে।’
আর্জেন্টিনার ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ানো মানেই মার্তিনেজের বীরত্ব। এর আগে ২০২১ সালের কোপা ও ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপেও এটি দেখা গেছে। আজও আর্জেন্টিনাকে হতাশ করলেন না তিনি। ইকুয়েডরের নেওয়া প্রথম দুইটি শটই ফিরিয়ে দেন তিনি। পরের দুইটিতে ইকুয়েডর গোল দিলেও আর্জেন্টিনা আর মিস করেনি।
ম্যাচ শেষে মার্তিনেজের প্রশংসা ঝড়ল মেসির কণ্ঠেও, ‘আমি জানতাম, এমন পরিস্থিতিতে দিবু দাঁড়িয়ে যাবে। এ ধরনের মুহূর্ত ও পছন্দ করে, যেটা ওকে আরও বড় করেছে। গোলবারের নিচে থাকলে অন্যরকম হয়ে ওঠে ও।’
ইকুয়েডরের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে অনিশ্চিত ছিলেন মেসি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগছিলেন এই তারকা। নিজের চোট নিয়ে এই তারকা বলেন, ‘আমি এখন ঠিক আছি। কোনো অস্বস্তি নেই। আবার চোটে পড়ার বা অস্বস্তিতে ভোগার ভয় মনে মনে ছিল। পেশিতেও কোনো সমস্যা নেই। কোচ (লিওনেল স্কালোনি) জিজ্ঞেস করেছিল, খেলতে প্রস্তুত কি না। আমি হ্যাঁ বলেছি।’