দলবদলের বাজারে দুই হাতে টাকা ঢালায় চেলসির সুনাম আগে থেকেই আছে। তবে এবারের শীতকালীন উইন্ডোতে নতুন খেলোয়াড় কিনতে টাকা ওড়ানোর যে চমক ইংলিশ ক্লাবটি দেখাল, তা এক কথায় বিস্ময়কর।
জানুয়ারির শীতকালীন উইন্ডো মূলত দলবদলের খণ্ডকালীন বাজার। গ্রীষ্মের মূল দলবদলে দল গঠনে যে ঘাটতি থেকে যায়, জানুয়ারির উইন্ডোতে এক-দুজন নতুন খেলোয়াড় কিনে সেই ঘাটতিই পূরণ করে থাকে ক্লাবগুলো। অথচ চেলসি কি না এই খণ্ডকালীন দলবদল বাজারেই কিনল আট জন ফুটবলার। সেই আট জনের পেছনে ঢালল ৩২ কোটি ৬৫ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ হাজার ৭৮৯ কোটি ৮৮ লাখ ৪ হাজার ৭২৭ টাকা!
জানুয়ারির শীতকালীন উইন্ডোতে নতুন খেলোয়াড় কেনায় এর আগে কোনো ক্লাব এত টাকা খরচ কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। সর্বোচ্চ খরচের রেকর্ড গড়ার পথে আরো একটি রেকর্ড গড়েছে চেলসি। গত পরশু জানুয়ারির দলবদল উইন্ডোর শেষ মুহূর্তে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা থেকে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। আর্জেন্টিনার ২২ বছর বয়সী এই তরুণকে পেতে চেলসিকে ঢালতে হয়েছে ১২ কোটি ১০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৪০৪ কোটি ৫১ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৩ টাকা। যে অঙ্কটা এনজো ফার্নান্দেজকে বানিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ফুটবলার। ক্লাব চেলসি এবং আর্জেন্টিনার ইতিহাসেও সবচেয়ে দামি ফুটবলার বনে গেলেন এনজো ফার্নান্দেজ!
শুধু এই জানুয়ারিতে নয়। দলবদলের বাজারে নতুন খেলোয়াড় কেনায় গত এক বছর ধরেই চমক দেখাল চেলসি। রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার জের হিসেবে চেলসির মালিকানা হারিয়েছেন রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। বিশাল অঙ্কের টাকা গচ্চা দিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। তাকে মালিকানা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর গত বছর ক্লাবটির মালিকানা স্বত্ব কিনে নিয়েছেন আরেক ধনকুবের টড বোহলি। তিনি মালিকানায় আসার পর থেকেই নতুন খেলোয়াড় কেনায় টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছে চেলসি। তিনি আসার পর গত এক বছর নতুন খেলোয়াড় কিনতে চেলসি এ পর্যন্ত মোট খরচ করেছে ৫০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ডেরও বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা ৬ হাজার ৫৪২ কোটি ৮৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৫০ টাকা! কোনো কোনো পত্রিকা অঙ্কটা ৬০ কোটি পাউন্ড বলেও দাবি করেছে।