মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। কিন্তু মেসির-ডি মারিয়াদের আগামীর প্রজন্ম পারলেন না যুব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে। কলম্বিয়ার মাটিতে অনূর্ধ্ব-২০ সাউথ আমেরিকা চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ে লে-আলবিসেলেস্তেদের এমন লজ্জায় পড়তে হলো।
এর আগে, মাত্র তিনবার এমন লজ্জায় পড়েছিল আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দল। ১৯৭৭, ১৯৮৫ সালের পর সবশেষ ২০১৩ যুব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হারিয়েছিল আকাশি নীল শিবির। এক দশক পর আবারও অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিলো আর্জেন্টিনা। ফলে এবারও বাদ পড়ল যুব বিশ্বকাপ থেকে।
কলম্বিয়ার মাটিতে অনূর্ধ্ব-২০ সাউথ আমেরিকা চ্যাম্পিয়নশিপের ৩০তম আসরে ‘এ’ গ্রুপের চার ম্যাচে একটিতে জিতে চতুর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা। আসরে একমাত্র জয়টি আসে সব ম্যাচে পরাজয় বরণ করা পেরুর বিপক্ষে। অন্যদিকে হেরেছে প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল আর সবশেষ কলম্বিয়ার কাছেও।
আগামী মে মাসে ইন্দোনেশিয়ায় বসবে যুব বিশ্বকাপের এবারের আসর। তাতে খেলতে হলে লাতিন দলগুলোর মধ্যে সেরা চারে থাকতে হবে। কিন্তু লাতিন আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ে আর্জেন্টাইনদের সেই সম্ভাবনা আর নেই। এমন ভরাডুবিতে যুব বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে গেছে আর্জেন্টিনার যুবারা।
শুধু বিশ্বকাপ থেকে নয়, ২০২৩ সান্তিয়াগো প্যান আমেরিকান গেমস থেকেও ছিটকে গেছে আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দল। এই টুর্নামেন্টে লাতিন আমেরিকার সেরা তিন দল অংশ নেবে। তাই আর্জেন্টিনার সামনে একটিই বড় আসর ২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিক গেমস।
সেখানেও যদি সুযোগ না পায় আর্জেন্টিনার যুবারা, তাহলে আগামীতে অন্ধকারে নেমে যেতে পারে আর্জেন্টিনার। কারণ, এই যুব দল থেকেই যে ভবিষ্যৎ মেসি-ডি মারিয়ারা বেরিয়ে আসবে।