চলতি বছরের ২০ নভেম্বর পর্দা উঠছে কাতার বিশ্বকাপের। সব কিছু ঠিক থাকলে বিশ্বকাপেই ক্লাব ও দেশের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারে এক হাজার ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি।
ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে আর মাত্র ৯টি ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে এ মাইলফলক স্পর্শ করবেন লিওনেল মেসি।
ইতোমধ্যেই মেসি ৯৯১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। এর মধ্যে আটশর’ও উপরে ম্যাচ খেলেছেন বার্সেলোনার হয়ে। কাতালান জায়ান্টদের জার্সি গায়ে ৮২৬ ম্যাচে মেসি সর্বোচ্চ ৬৯১টি গোল করা ছাড়াও ৩২৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন। বর্তমান ক্লাব পিএসজির হয়ে ৪৯ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৯টি, অ্যাসিস্ট রয়েছে ২৩টি। জাতীয় দলের হয়ে ১৬৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৯০টি গোল করেছেন, অ্যাসিস্ট করেছেন ৫১টি।
আর্জেন্টিনা যদি ফাইনালে পৌঁছায় তবে মেসি ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এই সময়ের মধ্যে ১৩টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
এর মধ্যে পিএসজির হয়ে পাঁচটি ও আর্জেন্টিনার হয়ে আটটি ম্যাচ রয়েছে, যার মধ্যে সাতটি বিশ্বকাপে ও একটি বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচ। অর্থাৎ এই ১৩টি ম্যাচের মধ্যে মেসি যদি পিএসজির হয়ে সবকটি ও জাতীয় দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ ও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচেই খেলার সুযোগ পান তবেই হাজার ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করবেন।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আরও একটি রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার। এন্টোনি কারভাহাল, গিয়ানলুইজি বুফন, রাফায়েল মারকুয়েজ ও লোথার ম্যাথিউজের পর পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ডও স্পর্শ করবেন মেসি।
২০০৬ সালে জার্মান বিশ্বকাপ (কোয়ার্টার ফাইনাল), ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ (কোয়ার্টার ফাইনাল), ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ (রানার্স-আপ) ও ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে (শেষ ১৬) খেলেছেন মেসি।
মেসি কদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, কাতারই তার শেষ বিশ্বকাপ অভিযান। শেষবার বিশ্বমঞ্চে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে চাপিয়ে রেকর্ডগুলো মেসি তাই নিজের করে চাইবেনই। যেমন চাইবেন পরম আরাধ্য সোনালি ট্রফিটাতে একবার চুমু দিতে।