নাসিম রুমি: সমর্থকদের ভিড়ে ভাঙল গাড়ির কাচ, ফিরলেন পুলিশের গাড়িতে। গেল সোমবার ভোরে ঢাকায় নেমে বিকেলেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন কাতারে বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এর মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান করেন ১১ ঘণ্টা। এ সময় তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে এ সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেনি আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা ও প্রোটোকল-জনিত কারণে বিমানবন্দরে কয়েক হাত দূরত্বে দাঁড়িয়ে থেকেও বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া দেখা করতে পারেননি আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষকের সঙ্গে। অথচ কলকাতায় যেন উলটো দৃশ্য, সমর্থকদের বিশৃঙ্খলায় বেগতিক অবস্থা মার্টিনেজে।
কলকাতায় মার্টিনেজকে নিয়ে বিশাল আয়োজন চলছে। সেখানে আড়াই দিন থাকবেন আর্জেন্টাইন এই ‘বাজপাখি’। তার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর কর্মসূচির একটি ছিল মিলনমেলার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০-২৫ মিনিট পরে মিলনমেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছান তিনি। আর এই অনুষ্ঠান শেষেই হট্টগোলে গাড়ির কাচ ভাঙার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, মিলনমেলা শেষে হোটেলে ফেরার জন্য যখন গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন মার্টিনেজ, সেই সময় একদল সমর্থক তাকে ছুঁয়ে দেখতে, অটোগ্রাফ ও সেলফি নিতে হামলে পড়ে। সেখানে যথেষ্ট পুলিশি নিরাপত্তা থাকলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। মুহূর্তের মধ্যে ভিড়ের চাপ এতটাই বেড়ে যায় যে গাড়ির কাচ পর্যন্ত ভেঙে যায়। আর তা দেখে বাধ্য হয়ে পুলিশ ভিড় ভাঙতে পদক্ষেপ নেয়। পরে পুলিশের গাড়িতে চড়ে সেখান থেকে হোটেলে ফেরেন মার্টিনেজ।
এ বিষয়ে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এই অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই একটা বিশৃঙ্খলার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, যা অনুষ্ঠান শেষে চরমে পৌঁছে যায়। সবাই চেয়েছিলেন মার্টিনেজের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হতে। তাই এই অনুষ্ঠানে তিন ভাগে বিভক্ত করা আসনগুলো থেকে প্রত্যেকে সামনের দিকে চলে আসতে থাকে। সেখানে ছিল না তেমন কোনো নিরাপত্তারক্ষীও। সবাই ছবি তুলতে যান। কিন্তু তা যে একপ্রকার অসম্ভব ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনও পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, মঞ্চের ওপরে উঠতে যান দর্শক। তবে তা হয়নি, পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন দায়িত্বরতরা।