চলতি বছর সর্বোচ্চ আয় করা ফুটবলারদের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। ৯ বছর পর এই তালিকার শীর্ষে নেই লিওনেল মেসি কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম। দুই তারকাকে পেছনে ফেলে এবারের তালিকায় সবার উপরে উঠেছেন পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।
সবশেষ ২০১৩ সালে মেসি-রোনালদোকে টপকে শীর্ষ ধনী হয়েছিলেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ডেভিড বেকহাম। এতদিন পর এবার দুই তারকাকে পেছনে ফেললেন ফরাসি তারকা।
চলতি মৌসুমে এমবাপ্পের আয় সর্বোচ্চ ১২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন লিওনেল মেসি। ঠিক ১০০ মিলিয়ন নিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অবস্থান তৃতীয় স্থানে।
এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদে যাবেন, এমন গুঞ্জন কয়েক বছর ধরে চলছিল। ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি গত মে মাসে আগামী তিন বছরের জন্য আকর্ষণীয় চুক্তি করে রেখে দেয় ২৩ বছর বয়সী এই তারকাকে। এতেই বেড়ে গেছে তার আয়। বিশ্বকাপজয়ী এমবাপ্পে পিএসজির হয়ে ২২৮ ম্যাচে করেছেন ১৮২ গোল, সেই সঙ্গে উঁচিয়ে ধরেন ১১টি শিরোপা।
৮৭ মিলিয়ন ও ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে সেরা দশের চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছেন যথাক্রমে নেইমার ও মোহাম্মদ সালাহ। তালিকায় শীর্ষ স্থান যেমন চমক, তেমনি চমক আরেক তরুণ আর্লিং হলান্ডের সেরা দশে চলে আসা।
ম্যানচেস্টার সিটির এই গোলমেশিন আছেন ষষ্ঠ স্থানে। প্রথমবার সেরা দশে উঠে এসেছেন নরওয়ের এই তারকা। সিটির জার্সিতে চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে ১২ ম্যাচে ১৯ গোল করেছেন। তার আয়ের পরিমাণ ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে বার্সেলোনায় পাড়ি জমানো পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডস্কি ৩৫ মিলিয়ন নিয়ে আছেন তালিকার সপ্তম স্থানে।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এখনও নিজের সেরাটা দেখাতে না পারলেও ফোর্বসের ধনী ফুটবলারের তালিকায় সেরা দশে ঠিকই আছেন এইডেন হ্যাজার্ড। মাদ্রিদের নম্বর সেভেন আছেন তালিকার আটে। আয় ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা বুড়িয়ে গেলেও বুড়ো হাঁড়ের দাম দিচ্ছে জাপানি ক্লাব ভিসেল কোবে। ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে তালিকায় ৯ নম্বরে।
সেরা দশের সর্বশেষ নামটি কেভিন ডে ব্রুইনের। চলতি মৌসুমে ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে দশম স্থানে আছেন হলান্ডের ম্যানসিটি সতীর্থ। সেরা দশের এই তালিকায় এমবাপ্পে ও হলান্ডের বয়সই কেবল ৩০ এর নিচে।