২৮ বছরের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে গত এক বছরের মধ্যে আর্জেন্টিনা জিতে নিয়েছে দুটি আন্তর্জাতিক শিরোপা। কাতার বিশ্বকাপে দলটিকে ঘিরে প্রত্যাশা তাই অনেক বেশি। দুর্বার গতিতে ছুটে চলা লিওনেল স্কালোনির এই দলটির মাঝে বিশেষ কিছু দেখছেন হুয়ান রোমান রিকেলমে। আর্জেন্টিনার সাবেক এই ফুটবলারের বিশ্বাস, বিশ্বকাপে খুব ভালো করবে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
২০১৯ সালে স্কালোনি কোচ হওয়ার পর থেকে আর্জেন্টিনার বদলে যাওয়ার শুরু। তার হাত ধরে গত তিন বছরে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজেদের রেকর্ড ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত আর্জেন্টিনা। যেভাবে খেলছে আর্জেন্টিনা, তাতে চলতি বছরের শেষের দিকে হতে যাওয়া কাতার বিশ্বকাপে ফেভারিটের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকবে তারা। সম্প্রতি মেসিদের নিয়ে এম উচ্চাশা পোষণ করেন রিকেলমে।
তিনি বলেন, সেরাদের সঙ্গে লড়তে আর্জেন্টিনা প্রস্তুত। বলতেই হবে দলটা ভালো করছে। আমি মনে করি যে আর্জেন্টিনার এই দলটির একটি সুবিধা আছে, যা আমি দীর্ঘদিন ধরে আর্জেন্টিনা অন্য দলগুলোতে দেখিনি। সেটা হলো তারা একটি দল হিসেবে খেলছে, এমন কোনো দল নয় যাদের জন্য আর্জেন্টিনার হয়ে কিছু অর্জন করা কঠিন। তারা একে অপরকে ভালোভাবেই চেনে, ম্যাচ তারা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে তাদের দলে যারা আছে তারা বিশ্বের সেরা। আমি খুবই রোমাঞ্চিত যে, বিশ্বকাপটা আমাদের জন্য খুব ভালো কাটবে।
প্রধান কোচ স্কালোনি ছাড়াও আর্জেন্টিনার কোচিং স্টাফে আছেন সাবেক তিন ফুটবলার রবের্তো আয়ালা, পাবলো আইমার ও ওয়াল্তার সামুয়েল। এছাড়া বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন হাভিয়ের মাসচেরানো ও দিয়েগো প্লাসেন্তে। সবার সঙ্গেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে রিকেলমের। সাবেক সতীর্থদের দেশের হয়ে কাজ করতে দেখে উচ্ছ্বসিত তিনি।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ মালয়েশিয়া যুব বিশ্বকাপ থেকে আইমার, সামুয়েল ও স্কালোনি আছে। সময় দ্রুত চলে যায়, এটিই একমাত্র জিনিস যা থেমে থাকে না। আয়ালার সঙ্গে ২০০৬ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হয়েছিল। তারা সবাই ভালো মানুষ, আমি তাদের খুব ভালোবাসি। আমি সবসময় চাই তারা সিনিয়র দলে ভালো করুক। মাসচেরানো ও প্লাসেন্তে এখন কাজ করছে যুব দলে। তাদের কাজ দেখে এবং তারা যেভাবে এটি উপভোগ করছে তা আমাকে আনন্দ দেয়।
আর্জেন্টিনার হয়ে ৫১ ম্যাচ খেলা রিকেলমে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে খেলেছেন বার্সেলোনা, ভিয়ারিয়ালে। দেশে আলো ছড়িয়েছেন বোকা জুনিয়র্সের হয়ে। নিজের সময়ে তিনি ছিলেন সেরা মিডফিল্ডারদের একজন। ২০১৫ সালে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেন তিনি।