কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে গতকাল মরক্কোর ফুটবল বিপ্লব থামিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো (সব মিলিয়ে চতুর্থবার) ফাইনাল নিশ্চিত করল ফ্রান্স। ফরাসিরা ম্যাচটা তারা জিতল ২-০ গোলে। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ২২তম বিশ্বকাপের ফাইনাল।
এই বিশ্বকাপে একের পর এক চমক দেখিয়েছে মরক্কো। চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে চোখ রাঙানি দিয়েই মাঠে নেমেছিল দেশটি। তবে কাতারে প্রথম পাঁচ ম্যাচে প্রতিপক্ষের কাছে একটিও গোল হজম না করা দলটি আর এগোতে পারলো না। যদিও এই হার মরক্কোর জাদুকরী বিশ্বকাপ যাত্রায় দাগ ফেলবে না মনে করেন কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই।
প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে মরক্কো। এর আগে তাদের সেরা সাফল্য ছিল শেষ ষোলোতে খেলা। দারুণ পারফরম্যান্সের নজির তৈরি করে আরব বিশ্বে নজর কেড়েছে এবার তারা। রেগরাগুই মনে করেন, এই জায়গায় পৌঁছাতে তারা যা করেছে তা অভাবনীয় এবং বিশ্ব ফুটবলের শীর্ষ পর্যায় থেকে খুব বেশি দূরে নয় তারা।
মরক্কো কোচ বললেন, ‘আমরা সর্বোচ্চটা দিয়েছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কিছু ইনজুরি ছিল, আমরা (নায়েফ) আগুয়ের্দকে হারিয়েছি ওয়ার্মআপের সময়, (রোমেইন) সাইস, (নওসাইর) মাজরাউইকে পাইনি। কিন্তু কোনও অজুহাত নেই।’
রেগরাগুই আরও বললেন, ‘সূক্ষ্ম ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে আমাদের। আমরা ম্যাচে ভালোভাবে খেলতে পারিনি, প্রথমার্ধে আমাদের অনেক বেশি টেকনিক্যাল ভুল ছিল এবং দ্বিতীয় গোল আমাদের শেষ করে দিলো। কিন্তু এটা আমরা আগে যা করেছি তা মুছে ফেলবে না। এই হার আমাদের জাদুকরী বিশ্বকাপ যাত্রায় দাগ ফেলবে না।’