ইংল্যান্ডের হতাশার বিপরীতে রোমাঞ্চকর লড়াই জিতে আরেকটি বিশ্বকাপ ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে এখন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। শেষ চারে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ইতিহাস গড়া মরক্কো।
১৭ মিনিটে ফ্রান্স গোল করেছিল, এরপর পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন হ্যারি কেইন। ফ্রান্স আবারও গোল করল, ইংল্যান্ড আবারও একটা পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার কেইন আর সমতায় ফেরাতে পারলেন না ইংলিশদের। পেনাল্টি মিস করে বসলেন। ফলে জিরুর এগিয়ে দেওয়া গোলে ২-১ ব্যবধান নিয়ে ফ্রান্স সেমিফাইনালে উঠে গেল।
ম্যাচের শুরু থেকই আক্রমণাত্মক খেলে ফ্রান্স। এমবাপ্পে–গ্রিজমান–জিরুরা ইংল্যান্ডের রক্ষণে চাপ তৈরি করে। ফ্রান্সের ছন্দময় আক্রমণে কিছুটা ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে ইংলিশরা। ১৭ মিনিটে ইংলিশ রক্ষণ ভেঙে পড়ে। দারুণ এক সংঘবদ্ধ আক্রমণে আঁতোয়ান গ্রিজমানের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি–বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন চুয়ামেনি।
গোল খেয়ে জেগে ওঠে ইংলিশরা। তবে বিরতির পূর্বে কোনো গোল করতে সমর্থ না হলেও বিরতির পর পেনাল্টি আদায় করে নেয় তারা। ডান প্রান্ত দিয়ে বারবার হুমকি তৈরি করা বুকায়ো সাকা ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় থ্রি লায়নসরা। হ্যারি কেন শট নেওয়ার আগে এমবাপ্পে গিয়ে কিছু বলেও এসেছিলেন। তবে কেইনের বুলেট শটটা সম্ভবত কোনো কিছুতেই থামানো সম্ভব ছিল না।
ম্যাচ সমতায় আসার পর ফ্রান্সের জিরু, এমবাপ্পে, গ্রিজম্যানদের একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে প্রতিপক্ষের গোলমুখে। ইংলিশরা অবশ্য রক্ষণ সারছিল ভালোভাবেই। ৭৮ মিনিটে জিরুর দারুণ এক ফিনিশিংয়ে ফ্রান্স পেয়ে যায় দ্বিতীয় গোল। এর পাঁচ মিনিট পরই ম্যাচের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। গোল পরিশোধে মরিয়া ইংলিশরা সংঘবদ্ধ আক্রমণ করে। ফ্রান্সের ডিফেন্ডার বক্সের মধ্যে ফাউল করে। রেফারি প্রথমে পেনাল্টি দেননি। ইংলিশ ডাগআউট ফেটে পড়ে প্রতিবাদে। সেই ফাউল ভিএআরে পেনাল্টি হয়।
পেনাল্টি থেকেই প্রথম সমতা এনেছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। দ্বিতীয় পেনাল্টি তিনিই নেন। স্পট কিকে এবার তিনি আকাশের ঠিকানায় বল পাঠিয়ে সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট করেন। সে সঙ্গে নিশ্চিত করেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ও। শেষ দিকে একের পর এক চেষ্টা করেও যে কোনো কাজে আসেনি