১২ বছর পর আবারও স্পেন মাথায় তুলল ইউরোপ সেরার মুকুট। ফুটবলেরও তাই এবারও নিজের ‘ঘরে’ ফেরা হলো না।
ইংল্যান্ডের ৫৮ বছরের অপেক্ষা আরও বাড়িয়ে লাল উচ্ছ্বাস ছড়ালো চারিদিকে। ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর ফাইনাল জিতলো স্প্যানিশরা।
শুরুর গতিহীন, ঢিমেতালের ফুটবল পাল্টে গেল বিরতির পর। এগিয়ে গিয়ে আক্রমণের ঝড় তোলে স্পেন। ওই ঝড়ের মাঝেই ইংল্যান্ডের আশা এসেছিলেন কোল পালমার। বদলি নেমেই দুর্দান্ত গোলে টানলেন সমতা। তবে এই স্পেন তো অন্য ধাঁচে গড়া। খেই না হারিয়ে, চাপ ধরে রেখে শেষ দিকে আরেকবার জালে বল জড়াল তারা।
নিকো উইলিয়ামসের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ইংল্যান্ডের আশা জাগান কোল পালমার। তবে শেষদিকে তাদের ইংলিশ চোখে জল এনে স্পেনের হয়ে ব্যবধান বাড়ান মিকেল ওইয়ারসাবাল।
এতদিন সর্বোচ্চ ইউরো জয়ের রেকর্ড ছিল যৌথভাবে স্পেন ও জার্মানির। গতিময় ও নান্দনিক ফুটবলের পসরা মেলে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেটা নিজের করে নিল স্প্যানিশরা।
ইংলিশদের আরেকটি শিরোপা জয়ের অপেক্ষাও তাতে শেষ হলো না। সেই ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে আরেকটি ট্রফির অপেক্ষায় থাকা দলটি টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর রানার্সআপ হলো।