স্বপ্নের ফাইনালে হোক ‘সুপার ক্ল্যাসিকো’ কোটি ফুটবলপ্রেমীর মতো নেইমারও সেটাই চেয়েছিলেন। ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে হতাশ করেনি আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আলবিসেলেস্তেরা। ১৪ বছর আগে ২০০৭ সালে শেষবার কোপার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। বাংলাদেশ সময় আগামী রোববার সকাল ৬টায় শিরোপার মঞ্চে মুখোমুখি হবেন লিওনেল মেসি-নেইমার।
আর্জেন্টিনা লড়বে ২৮ বছরের শিরোপাখরা ঘোচানোর জন্য। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। জাতীয় দলের হয়ে মেসির এটা পঞ্চম ফাইনাল (বিশ্বকাপে এক ও কোপায় চতুর্থ)। প্রতিবারই মাথা নিচু করে কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছেড়েছেন মেসি।
মেসি-নেইমার বার্সেলোনায় কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন একসময়। নেইমার পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর ক্লাব ফুটবলে দুই বন্ধু মুখোমুখি হননি একবারও। জাতীয় দলে দেখা হলেও সেগুলো ছিল বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও প্রীতি ম্যাচে। ফাইনালের মঞ্চে মেসি-নেইমারের দ্বৈরথও আলাদা নজর কাড়বে।
ফাইনালের ভেন্যু মারাকানায় ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ হারানোর বেদনায় কেঁদেছিলেন মেসি। জার্মানির কাছে এই মারাকানায় হেরেছিল আর্জেন্টিনা। প্রায় এক লাখ ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে ফাইনালের দিন গ্যালারিতে থাকবেন মাত্র ৫ হাজার দর্শক। লিওনেল মেসির জন্য ব্রাজিলের বিপক্ষে কোপার ফাইনাল তাই সাত বছর আগের দুঃখ ভোলার মিশনও।