ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা যদি বিশ্বকাপ জিতে যায়, উপলক্ষটা কীভাবে উদ্যাপন করবেন লিওনেল মেসিরা? বাকি জীবন মনে রাখার মতো কিছু কি করবেন?
হয়তো করবেন, হয়তো করবেন না। মেসিরা আপাতত ব্যস্ত ফাইনালের পরিকল্পনা আর প্রস্তুতিতে।
আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের ক্যারিয়ারের মাইলফলকময় এই সময়ে কাতারে অবস্থান করছেন তাঁদের স্ত্রী-বান্ধবীরাও। এরই মধ্যে সেমিফাইনালের আগে স্বামী-প্রেমিকদের সঙ্গে দেখাও হয়েছে তাঁদের।
তবে খেলোয়াড়রা ব্যস্ত থাকায় সঙ্গীদের সময় দেওয়ার সুযোগ কম। এই ফাঁকে আর্জেন্টিনা থেকে আসা স্ত্রী-প্রেমিকাদের একত্রে ওঠা-বসার সুযোগটা হচ্ছে বেশি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের রাতে কাতারের একটি রেস্তোরাঁয় ডিনার পার্টিও করেছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, হুলিয়ান আলভারেজের স্ত্রী-বান্ধবীরা।সেখানে ১৯ খেলোয়াড়ের স্ত্রী-প্রেমিকারা ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন শুধু লিওনেল মেসির স্ত্রী আন্তেনেলা রোকুজ্জে ও রদ্রিগো দি পলের প্রেমিকা তিনি স্তোয়েসেল।
সেদিনের ডিনারে উপস্থিত ফুটবলারদের স্ত্রী-বান্ধবীরা একটি ‘সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন।আর্জেন্টাইন টিভি উপস্থাপক জর্জিনিয়া বারবারোসার অনুষ্ঠানে লিসান্দ্রো মার্তিনেজের সঙ্গী মুরি লোপেজ জানান, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলে কী করবেন, এ নিয়ে আড্ডায় কথা উঠেছিল, ‘প্রত্যকের নিজস্ব কোনো পরিকল্পনা থাকতে পারে। তবে সেদিনের ডিনারে আমরা একটা বিষয়ে একমত হয়েছি। যদি বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার সবকিছু ঠিকঠাকমতো হয়, তাহলে ঐতিহাসিক মুহূর্তের স্মরণে আমরা সবাই শরীরে ট্যাটু আঁকাব।’
কী ধরনের ট্যাটু বা কী লেখা থাকবে সেই সিদ্ধান্ত অবশ্য নানা মতের কারণে সম্ভব হয়নি বলে জানান মুরি, ‘এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি কী ট্যাটু আঁকানো হবে। কেউ চেয়েছে ট্রফির ছবি, কেউ চেয়েছে তারিখটা আবার কেউ বলেছে আরবি ভাষায় কিছু একটার কথা।’
সিদ্ধান্তটা আপাতত ফাইনালের পরের জন্যই রেখে দিয়েছেন তারা। কারণ, আর্জেন্টিনার মতো ফ্রান্সও যে ট্রফিটা জিততেই নামবে!