ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে আল খোরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে আজ বুধবার দিবাগত রাত ১টায় দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলতে নামছে ফ্রান্স-মরক্কো। যে দলই জিতুক না কেন, হয়ে যাবে ইতিহাস। জিততে পারলে ৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনালে খেলবে ফ্রান্স। আর এরই মধ্যে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠা মরক্কো জিতলে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নিজেদের নাম লিখবে।
মরক্কোর ফুটবল বিপ্লবের ঢেউয়ে ভেসে গেছে বেলজিয়াম, স্পেন আর পর্তুগালের মতো দল। কাতারে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে তারা সেমিফাইনালে খেলতে নামছে। ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর বেলজিয়াম ও কানাডাকে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলোতে ওঠে ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার। আর নকআউটে উঠে যেন আরও ভয়ঙ্কর অ্যাটলাসের সিংহখ্যাত এই আরবীয় দল। ১২০ মিনিটে কোনও গোল না খেয়ে স্পেনকে টাইব্রেকারে হারায়, সেখানেও কোনও গোল হজম করেনি। তাতে ক্ষান্ত হয়নি তারা। পরে পর্তুগালের বিপক্ষে ১-০ গোলে কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে গড়লো ইতিহাস।
এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে খেলা। মরক্কো কি টানা তৃতীয় ম্যাচে অঘটন ঘটিয়ে দেবে? কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই জানেন, সেটা কঠিন। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে দোষ নেই।
মরক্কোর কোচ বললেন, ‘টুর্নামেন্টে যত এগিয়ে যাবো, পরিস্থিতি তত কঠিন হয়ে উঠবে। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি, যাদের বিশ্বমানের খেলোয়াড় ও একজন ভালো কোচ, সম্ভবত বিশ্বসেরা কোচ আছে। আমরা কী করতে পারি, সেটাতেই আমাদের ফোকাস থাকবে। আমরা আমাদের সেরা পারফরম্যান্স দেখাবো এবং আরেকটি অঘটনের চেষ্টা করবো।’
রেগরাগুই বলেছেন, ‘আমরা এখনও ক্ষুধার্ত, অনেক। ফ্রান্স আমাদের কাছে বল রাখতে দিবে না কারণ তারা বল নিতে চাইবে। আমাদের তিন বা চারটি সুযোগ দরকার গোল করতে এবং প্রতিপক্ষকে বিদায় করতে। ফ্রান্স ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দর্শনীয় খেলা না খেললেও তারা ছিল কার্যকরী।’