নাসিম রুমি: ফুটবল বিশ্বে ব্যক্তিগত অর্জনের দিক বিবেচনায় সবচেয়ে বড় পুরস্কারের অন্যতম ব্যালন ডি’অর। ইউরোপের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ধরা হয় এই পুরস্কারকে।
১৯৫৬ সাল থেকে ফ্রান্স ফুটবলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। প্রথম যে পুরস্কার জিতেছিলেন ইংল্যান্ডের স্ট্যানলি ম্যাথিউস। এরপর থেকে বহু রথী-মহারথী এই পুরস্কার জয় করেছেন। ক্রমে ক্রমে এর মর্যাদাও বেড়েছে বহুগুণে।
আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ২ টায় প্যারিসের থিয়েটার ডু শ্যাটেলেটে ঘোষণা করা হবে এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম।
প্রথাগত নিয়ম ভেঙে এবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণা করা হবে মৌসুমের পারফর্মেন্স ভিত্তিতে। ব্যালনের প্রায় ৭ দশকের ইতিহাসে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুম বিবেচনায় আনা হচ্ছে। আগে বাৎসরিক পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণা করা হতো।
এদিকে এবারের ব্যালন ডি’ অরের জন্য সেরার তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম লিওনেল মেসি। বেশকিছু সংবাদ মাধ্যম নিশ্চিত করেছে, এবারের ব্যালন ডি’অর উঠতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির হাতে।
কাতারে বিশ্বকাপ জেতায় রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি’অর তার ঘরে উঠতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি অনেকের দাবি, গতমাসেই নাকি ব্যালন ট্রফির সঙ্গে অফিসিয়াল ফটোশ্যুটও সেরে নিয়েছেন মেসি।
এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সময়কে। এ সময়ে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি পিএসজির হয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ জিতেছেন মেসি।
এমনকি নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়েও দারুণ শুরু করেছিলেন। সবঠিক থাকলে, প্রথমবারের মত মেজর লিগ সকার থেকে ব্যালন ডি’ অর পেতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি।
মেসির ব্যালন ডি’অরের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী অবশ্য ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হলান্ড। তিনি গত মৌসুমে ট্রেবল জিতেছেন। মৌসুম জুড়ে গোল করেছেন ৫২টি। জিতেছেন উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাবটাও। যে কারণে হালান্ডকে খুব একটা পিছিয়ে রাখা হচ্ছেনা।
তবে হালান্ড এবং মেসি দুজনকেই কোচিং করানো পেপ গার্দিওলা দিয়েছেন অভিনব সমাধান। কয়েক দিন আগে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন, ‘আমি সব সময়ই বলি, ব্যালন ডি’অরের দুটি ভাগ হোক। একটা ব্যালন ডি’অর সব সময়ের জন্য রাখা হোক মেসির জন্য, আর অন্যটি বাকি সবার। তাতে হালান্ডও একটা জিতে পারে।’
তবে শেষ পর্যন্ত কে যে ব্যালন পাচ্ছেন, তা নিয়ে অপেক্ষা থেকেই যায়। একইদিনে নারী বর্ষসেরা ফুটবলার, নারী ও পুরুষ বিভাগে সেরা কোচ, তরুণ খেলোয়াড়দের কেপা ট্রফি এবং গোলরক্ষকদের জন্য থাকবে লেভ ইয়াসিন ট্রফি। এছাড়া সেরা স্ট্রাইকার এবং মাঠের বাইরের অবদানের জন্য থাকবে সক্রেটিস ট্রফি।